এডুকেশন টাইমস
১৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

ইবিতে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে অস্থায়ী কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় ১ দফা দাবিতে ট্রেজারারের কার্যালয়ের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি নেয় তারা।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে আলোচনায় বসেন তারা। এসময় উপাচার্য পরবর্তী সিন্ডিকেটে বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করে নেয় তারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে কর্মচারীরা বলেন, সরকার কর্তৃক ২০২০ সালের অক্টোবরে মজুরি ন্যূনতম ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। সাড়ে তিন বছর ধরে আমরা এর পরিবর্তে ১৫০টাকা মজুরি পেয়ে আসছি। বিগত প্রশাসন আমাদের বেতন ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি করে। এতে কেউ মাসে চার হাজার, কেউ পাঁচ হাজার টাকা পায়। আমরা এখানে কেউ ১০ বছর, কেউ ২৫ বছর ধরে কাজ করছি। কিন্তু এই প্রশাসন তিন বছরে একটা ফাইল ঘুরাতে পারলো না। আমরা বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে প্রশাসনের শরনাপন্ন হলে তারা বলে পরবর্তী সিন্ডিকেটে এ বিষয়ে কথা বলবে। কিন্তু কোনো বেতন বৃদ্ধির উদ্যোগ এ প্রশাসন নেয়নি।

তারা আরও বলেন, আজও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন পরবর্তী সিন্ডিকেটে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। এভাবে আমরা আর কত অপেক্ষা করবো। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এতো কম টাকায় কাজ করার কোনো নজির নেই।

জানা গেছে, ইবির বিভিন্ন বিভাগ/ অফিসে ৫৭ জন থোক ভিত্তিতে কর্মরত আছেন। তাদের প্রতি মাসে পারিশ্রমিক সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা এবং পর্যায়ক্রমে সর্বনিম্ন চার হাজার দুইশত টাকা। থোক ভিত্তিতে নিয়োজিতদের মাসিক টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্টি একটি কমিটি গঠন করেন। ২০২৩ সালের ৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এ কমিটি গঠিত হয়।

কমিটির বাকীরা হলেন- আইআইইআরের পরিচালক প্রফেসর ড. মামুনুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান, উপ-রেজিস্ট্রার (এস্টেট প্রধান) শামছুল ইসলাম (জোহা) ও উপ-হিসাব পরিচালক সামসুজ্জামান। ২০২৩ সালের ৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এ কমিটি গঠিত হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবি, গত ১ বছরেও এ কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। আমরা আশার আলো না দেখে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।

অস্থায়ী কর্মচারী বাদশাহ মিয়া বলেন, আমরা অস্থায়ী কর্মচারী আছি ৬২ জন। আর প্রায় ৩০০ স্থায়ী কর্মচারী রিটায়ার্ড নিয়েছে যাদের কাজ এখন আমরা করি। তাই প্রশাসনের নিকট আমাদের একটাই দাবি আমাদের বেতন বৃদ্ধি করুন। অন্যথায় ঈদের পর আমরা লাগাতার আন্দোলনের পাশাপাশি আমরণ অনশনের দিকে অগ্রসর হবো।

এ বিষয়ে ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘এটা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুনা, তারপরও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবে।’

এসআই/

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ববিতে মানবধিকার সংগঠন ‘সোচ্চার স্টুডেন্টস’ নেটওয়ার্কের যাত্রা শুরু

আবারো মহাসমাবেশের ডাক চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশীদের

পিকনিকে গিয়ে প্রাণ হারালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী

জাবিতে জুলাই হামলার তদন্ত কমিটির প্রধানকে প্রাণনাশের হুমকি

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ১০টি বাসে করে শিক্ষা সফরে নিয়ে গেল রাবি ছাত্রশিবির

সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বড় নিয়োগ, দেবে আবাসন ও নগর ভাতা

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি

মেডিকেল ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে যেদিন

জামায়াতে ইসলামীর ভারত-বিরোধিতা ধারণা ভিত্তিহীন: ডা. শফিকুর রহমান 

আগোরায় চাকরি, সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিনসহ দেবে নানান সুবিধা

১০

ববির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের নাইট শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন একাদশ ব্যাচ

১১

সকল টিভি চ্যানেলে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র প্রচারের উদ্যোগ 

১২

নিটল মটরস লিমিটেডের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৩

এইচএসসি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করছে ইমদাদ-সিতারা খান ফাউন্ডেশন

১৪

পুতিনের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি  

১৫

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তীব্র প্রতিরোধে শেখ হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব

১৬

সিওয়াইবি জবি শাখার নেতৃত্বে ইস্রাফিল ও লাভলু

১৭

টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশে ২য় স্থানে চবি

১৮

কুবিতে সিওইউ সাইক্লিস্টের নতুন নেতৃত্বে মামুন- রাকিন

১৯

শিক্ষা ও গবেষণায় সৌদি ফাউন্ডেশনের বৃত্তি, দেবে ৬০ লক্ষাধিক টাকা

২০