এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদত্যাগের পর পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। ফলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কার্যত নেতৃত্বশূন্য ও অসংগঠিত হয়ে পরেছে।
এরই মধ্যে গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে দাবি জানিয়েছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তবে সে দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দেশের সব জায়গায় সংস্কারের জন্য নিজস্ব দল গঠনের পরিকল্পনা করছেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, শেখ হাসিনা যেভাবে গত ১৫ বছর দেশ শাসন করেছেন তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই নতুন দলের প্রয়োজন। শুক্রবার আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
আন্দোলনের সময় ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে ছিলেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ এবং আবু বাকের মজুমদার।
রয়টার্সকে বাকের মজুমদার জানান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তাকে অন্যায়ভাবে আটক করেছে এবং মারধর করেছে। মুক্ত হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সময় তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেন- হাসিনাকে এবার যেতে হবে।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল নতুন বাংলাদেশ গঠন করা। যেখানে আর ফ্যাসিজম বা স্বৈরতন্ত্র ফিরবে না। সে জন্যই আমাদের কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। এতে কিছু সময় লাগবে।
আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকায় থাকা মাহফুজ আলম নামের এক শিক্ষার্থী রয়টার্সকে বলেন, দুই রাজনৈতিক দলের ওপর দেশের মানুষ ক্লান্ত–বিরক্ত। আমাদের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে। এ জন্য নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে আলোচনা করছেন শিক্ষার্থীরা। এক মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের আগে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করতে চান তারা।
আরেক সমন্বয়ক তাহমিদ চৌধুরী বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মূল ভিত্তি হবে অসাম্প্রদায়িকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা।
নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন হবে। কেননা এতদিন এই রাজনীতি থেকে তরুণদের বাদ রাখা হতো। তবে ছাত্রদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়নি।
এসআই/
মন্তব্য করুন