জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রশাসনিক নির্দেশনা মেনে ইংরেজি বিভাগ কর্তৃক কোটা সংস্কার ও দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ নিরসনের মাধ্যমে অধ্যয়নের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দুই সপ্তাহব্যাপী ‘নতুন কার্যক্রম’ শীর্ষক শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিথস্ক্রিয়া কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিভাগ কর্তৃক গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১১ আগস্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে মানসিক চাপ ও ট্রমা দূরীকরণের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে ১২ আগস্ট শিক্ষকদের মতবিনিময়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ক্লাস শুরু করার নির্দেশনা আগামী সপ্তাহে শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দুই সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনের অংশ হিসেবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে পর্যায়ক্রমে “প্রশ্নোত্তর পর্ব” আর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোরাসে জাগরণ ও দেশাত্মবোধের গান, দিনব্যাপী ইন্ডোর ও আউটডোর গেমস, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি “Planting Hope” (আশার রোপণ), কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় “Camaraderie Cook-up” / সৌহার্দ্য রান্নাসহ বেশ কিছু সামষ্টিক বোধের চর্চা সম্বলিত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হ। এছাড়াও সোমবার যুক্তরাজ্যের দু’জন জন CBT থেরাপিস্টের অংশগ্রহণে “Understnading and Managing Trauma in the Aftermath of the Student Movement 2024 in Bangladesh” শিরোনামে একটি ওয়েবিনার আয়োজিত হয়। মঙ্গলবার Psycoach Bangladesh-এর তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন-পরবর্তী ট্রমা প্রশমনের লক্ষ্যে “পাশে আছি: আন্দোলন পরবর্তী ট্রমা ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজিত হয়।
২১ আগস্ট তারিখে বিভাগীয় সভায় একাডেমিক ক্যালেন্ডার ও ক্লাস রুটিন হালনাগাদের মাধ্যমে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তার আগে ২০ আগস্ট তারিখে বিভাগে প্রচলিত চর্চা অনুযায়ী সকল ব্যাচের শ্রেণি প্রতিনিধি-দের সাথে একাডেমিক ক্যালেন্ডার কমিটি ও ক্লাস রুটিন প্রণয়ন কমিটির প্রধান বিভাগের সভাপতির উপস্থিতিতে মতবিনিময় করেন।এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে আগামী বৃহস্পতিবার “আমরা কী চাই”, “Experiential Learning: Sharing Movement Narratives” (অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষা: আন্দোলনের আখ্যান), বিদ্যমান বিভিন্ন বৈষম্য বিষয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীল কাজের অংশ হিসেবে গান, কবিতা এবং চিত্রকর্ম প্রদর্শনী সম্বলিত তিনটি কার্যক্রম আয়োজিত হবে বলে জানানো হয়।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে “আলোক প্রজ্জ্বলন” কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে।
এসএস/
মন্তব্য করুন