এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের শেষ নেই। আর এরি মধ্যে খবর এলো, ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে অরুণাচল প্রদেশের ৬০ কিলোমিটার ভূমি দখল করে ফেলেছে চীনের সেনারা। সেখানে তারা ঘাঁটিও বানিয়েছে।
কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন দাবিই করা হয়েছে। শনিবার ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ভূখণ্ডের ৬০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনা? এমনটাই দাবি করছেন অরুণাচলের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, অরুণাচলের অঞ্জো জেলায় নাকি চীনা সেনার ক্যাম্প দেখা গেছে। এর পর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
স্থানীয়রা বলছেন, অঞ্জো জেলার কাপাপু এলাকায় চীনা ক্যাম্পের খোঁজ মিলেছে। ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদনেও দাবি করা হচ্ছে, সপ্তাহখানেক আগে থেকেই নাকি ওই অঞ্চলে ডেরা বেঁধেছে চীনা সেনা! ভারতীয় সেনার মালবাহকেরাও এমনটাই জানাচ্ছেন। চীনা ক্যাম্পটি ম্যাকমোহন লাইন থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হাদিগ্রা পাসের কাছে অবস্থিত।
গত বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চীন সীমান্ত ও অন্যান্য প্রতিবেশীদের পরিস্থিতির ওপর ‘বিস্তৃত ও গভীর পর্যালোচনা’ করতে কমান্ডারদের প্রতি আহ্বান রেখেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনার করতেও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ স্থানীয় কমান্ডারদের নির্দেশ দেন তিনি। ওই ঘটনার দুদিন পরই ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের খবর এলো।
যে অঞ্জো জেলার ভূমি দখল হয়েছে, সেই এলাকার পরিস্থিতি উল্লেখ করে আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, এই অঞ্জো জেলার চাগলাগাম এলাকা থেকেই দু’বছর আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন দুই ভাই। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের অদূরেই এক গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। চীন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঔষধি গাছের খোঁজে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন ওই দু’জন।
স্থানীয়দের দাবি ছিল, চীনের পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র হাতে বন্দি রয়েছেন তাঁরা। ভারতীয় সেনার কাছে একাধিক বার নিখোঁজদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে যোগাযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। অঞ্জোর বিধায়ক তথা রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী দাসাংলু পুল সে সময় সংবাদ সংস্থাকে বলেছিলেন, চীন এখনও সরাসরি স্বীকার করেনি ওই দুই যুবক তাদের হেফাজতে রয়েছে কি না। তবে আমাকে বলা হয়েছে, বেঁচে আছেন দু’জনেই। যদিও অঞ্জোতে চীনা অনুপ্রবেশ নিয়ে সে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।
এবার নৌঘাঁটি দখল করলো আরাকান আর্মি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দুই ভাই ছাড়াও, ভারত-চীন সীমান্ত থেকে আগেও নিখোঁজ হয়েছেন একাধিক মানুষ। এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সুবানসিরি জেলা থেকে পাঁচ যুবকের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খোঁজ মেলে। এক সপ্তাহ পিএলএ-র হাতে বন্দি থাকার পর ঘরে ফেরেন তাঁরা। ২০২২ সালেও এক কিশোর ন’দিন চীনা সেনার হাতে বন্দি ছিলেন। আগেও একাধিক বার ভারত ভূখণ্ডে চীনা অনুপ্রবেশের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১৯ সালে চীন-অরুণাচল সীমান্তে আমাকো ক্যাম্পের কাছে দইমরু নালার উপর কাঠের অস্থায়ী ব্রিজ বানিয়েছিল চীন। ২০২০ সালে দিবং জেলাতেও ঢুকে পড়েছিল চীনা বাহিনী।
এসএস/
মন্তব্য করুন