জাবি প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার ১৩ জন সমন্বয়ক ও ৪ জন সহ-সমন্বয়ক পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকাল পৌনে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের দুইটি কারণ উল্লেখ করেন। কারণগুলো দুটি হলো: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাবি-র কতিপয় সমন্বয়কের বিতর্কিত কার্যক্রম ও ব্যাক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে নিজ স্বার্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারী দলের মত আচরণ ও গণ অভ্যুত্থানের স্পিরিট বিরুদ্ধ কাজ।
পদত্যাগকৃত সমন্বয়কেরা হলেন আব্দুর রশীদ জিতু, রুদ্র মুহাম্মদ সফিউল্লাহ , হাসিব জামান, জাহিদুল ইসলাম ইমন, জাহিদুল ইসলাম, ফাহমিদা ফাইজা, রোকাইয়া জান্নাত ঝলক, মিশু খাতুন, রাফিদ হাসান রাজন, হাসানুর রহমান সুমন, আব্দুল হাই স্বপন, নাসিম আল তারিক, ঐন্দ্রিলা মজুমদার এবং সহ-সমন্বয়কেরা হলেন জিয়া উদ্দিন আয়ান, তানজিম আহমেদ, জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি, সাইদুল ইসলাম। তাদের মধ্যে আব্দুর রশীদ জিতু কেন্দ্রীয় সমন্বয়কে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ সময় পদত্যাগকৃত সমন্বয়ক আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, ৯ দফার উপর ভিত্তি করে কোটা সংস্কার আন্দোলন ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের রূপ নেয়।
যে ৯ দফার উপর ভিত্তি করে সাধারণ মানুষ জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করেছে সে ৯ দফার অন্তর্ভূক্ত দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, জুলাই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচার এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতি পূরণের দাবিগুলোতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক প্রকার নিশ্চুপ রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বর্তমানে একটি সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের মত ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সর্বস্তরের আন্দোলনকারীদের একই ব্যানারে অন্তর্ভূক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের বিষয়গুলোতে আরো জোরালো দেখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে যত দ্রুত সম্ভব বিলুপ্ত করে দেওয়া উচিত।
এসএস/
মন্তব্য করুন