খুকৃবি সংবাদদাতা: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) শ্রেণিকক্ষ সংকটসহ চলমান বিভিন্ন সংকট নিরসনে ১৬ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে সংগঠনটির সভাপতি এম এম তানসেনের নেতৃত্বে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিসমূহ হলো, ছয় মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করা, ডিজিটাল বোর্ড ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সম্বলিত স্থায়ী আলাদা লেভেল ভিত্তিক স্মার্ট ক্লাসরুম নিশ্চিত করা, মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা গ্রাজুয়েশন যোগ্যতা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার পদের নিয়োগে আবেদন করতে পারার ব্যবস্থা করা, প্রতি সেমিস্টারের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত বিভাগভিত্তিক শিক্ষা সফর বা মাঠ ভ্রমণ নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ক্যাম্পাসের নিকটবর্তী স্থানে স্থানান্তরিত করা, অস্থায়ী ছাত্রী হল ক্যাম্পাসের নিকটবর্তী স্থানে স্থানান্তরিত করা, অস্থায়ী ছাত্র হল ও ছাত্রী হল বর্ধিত করে সকল শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত বইসহ একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও অস্থায়ী ছাত্র ও ছাত্রী হলে রিডিং রুম স্থাপন করা, নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির একমাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড ও লাইব্রেরি কার্ড নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সকল অস্থায়ী আবাসিক হলে নিরবিচ্ছিন্ন পানি, বিদ্যুৎ ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংবলিত ল্যাবরুম প্রতিষ্ঠা করা, সেমিস্টার ফি কমানো, ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল স্থাপন করা, ফিসারিজ এবং এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিকস অনুষদে ইন্টার্নশিপ এবং এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং’র ব্যবস্থা করা এবং অস্থায়ী ক্যাম্পাস-২ এ ক্যান্টিন চালু করা।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এম তানসেন বলেন, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান এবং কার্যকারী পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়া হবে।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম চৌধুরী দ্রুততম সময়ের মধ্যে উত্থাপিত দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দেন।
এসআই/
মন্তব্য করুন