জাককানইবি সংবাদদাতা: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) সার্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
আজ ২৬ মে (রবিবার) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত সার্বজনীন পেনশন প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ফেডারেশনের আহ্বানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন এবং সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, সার্বজনীন পেনশন প্রত্যয় স্কিম জারি করার মাধ্যমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার যে নীল নকশা করা হয়েছে তা এদেশের শিক্ষক সমাজ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। যে সময় বাংলাদেশ শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই সময় একটি চক্র এই প্রত্যয় স্কিমের মাধ্যমে শিক্ষক সমাজকে ধ্বংসের পায়তারা করছে।
তিনি আরো বলেন, যে সময়টা শিক্ষকদের ক্লাস করার কথা ছিল ঠিক সেই সময়ে শিক্ষকরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন করছে যা মোটেও কাম্য নয়। দেশ যখন ডিজিটাল মাধ্যম থেকেই স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হতে যাচ্ছে তখন সার্বজনীন পেনশনের নামে দেশের আমলারা যে প্রত্যয় স্কিম জারি করেছে তা মূলত একটি গভীর ষড়যন্ত্র। আমি মনে করি দেশের শিক্ষক সমাজকে ধ্বংস যে পায়তারা চলছে তার মাধ্যমে বাংলাদেশ কখনো স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করা সম্ভব না। তাই অবিলম্বে জারিকৃত এই প্রত্যয় স্কিম বাতিলসহ শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র একটি বেতন স্কেল চালু করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহা বলেন, যদি এই পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে দেশের শিক্ষক সমাজ আরো কঠোর হতে কঠোরতম আন্দোলনে যাবে।
এ ছাড়াও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, সার্বজনীন পেনশন প্রত্যয় জারির মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস এবং জাতিকে মেধাশূন্য করার একটি গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একটি গোষ্ঠী। এ প্রত্যয় স্কিম আমরাও চাই তবে, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজকে একটি আলাদা কাতারে রেখে যে বৈষম্য মূলক স্কিম জারি করা হয়েছে তা মূলত একটি ষড়যন্ত্র। আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা শিক্ষকতা করে তারা দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী। এই স্কিম জারির ফলে মেধাবী শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাকতায় আগ্রহী হবে না।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিতি ছিলেন- শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. রিয়াদ হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার মুখার্জি, চারুকলা অনুষদের ডিন তপন কুমার সরকারসহ শিক্ষক সমিতির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
এএকে/ এসআই
মন্তব্য করুন