মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাপদ্ধতি সংস্কার, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আজ সোমবার বিক্ষোভ মিছিল করেছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।
৮ জুলাই সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে একত্রিত হয়ে তারা মিছিল শুরু করে। মিছিলটি ১২ তলা ভবন হয়ে দ্বিতীয় ফটক দিয়ে যেয়ে প্রধান ফটকের পাশের সড়কে থাকে। প্রায় আধাঘন্টা তারা সড়কটি অবরোধ করে রাখেন।
ছাত্র নেতারা তাদের সড়ক বন্ধ রেখে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। আধা ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যান।
শিক্ষার্থীরা এ সময় কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এসব স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনে অংশ নেয়া বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি স্বাধীন রাষ্ট্রে কখনোই সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৫৬% কোটা থাকতে পারে না। এটি সাধারনের জন্য অতি বেশি উদ্বেগের। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল ভাবে আবেদন তিনি যেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে, এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান বজায় রাখার পাশাপাশি অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের কথা বিবেচনায় এনে কোটা পদ্ধতির একটি সংস্কার করেন, যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়া হবে । আমরা কোন প্রকার সরকার বিরোধী আন্দোলন করছি না, আমরা আমাদের দাবি আদায়ের আন্দোলন করছি, আমরা চাই দেশে এই কোঠা পদ্ধতির সংস্কার হোক। মহামান্য আদালতের কাছে আমাদের অনুরোধ, এ কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে পুনরায় রায় প্রদান করে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা স্থিতিশীল করা হোক, সকল ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার পরিবেশে ফিরিয়ে আনা হোক। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সকল সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ টানা তৃতীয় দিনের মতো আজকে তাদের আন্দোলন চালিয়েছে, ক্যাম্পাসের সেন্ট্রাল লাইব্রেরী থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা কখনও সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন করতে চাই না, আমরা পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু আমাদের কিছু করার নাই। কারণ, যে পরিমাণ কোটা, তাতে দেশের মেধাবীরা চাকরি না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে, দেশে সরকারি চাকরি করার আগ্রহও হারাবে।
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি না মেনে নেওয়া হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান। পাশাপাশি কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
আরএন/
মন্তব্য করুন