শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: দেশব্যাপী গুম-গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ছাত্র-জনতা হত্যা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের জিম্মি করে অস্ত্রের মুখে মিথ্যা বিবৃতি আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৯ জুলাই) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ মিছিল করে প্রধান ফটকের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে শাবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের জিম্মি করে মিথ্যা বিবৃতি পাঠ করিয়ে এই স্বৈরাচার সরকার আন্দোলনকে দমিয়ে দিতে চেয়েছে। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত আমাদের একজন ভাইও বেঁচে থাকবে ততদিন এই স্বৈরাচার সরকারের কোনো ছলচাতুরী কাজে আসবে না।
তিনি আরো বলেন, যারা আবু সাঈদ ভাইকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই রদ্রসহ সকল সহযোদ্ধা ভাইদের যারা গণহারে হত্যা করেছে তাঁদেরকে আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমরা খুনির কাছে খুনের বিচার চাই না। খুনির কাছে খুনের বিচার চাওয়ার জন্য আসি নাই। জহির রায়হানের আরেক ফাল্গুনে বলা হয়েছে, ‘কারাগার বড় করুন, আসছে ফাগুনে আমরা দ্বিগুন হব। আমরা বলে দিতে চাই সারা বাংলাদেশ কারাগার বানিয়ে ফেলো।’
ফয়সাল বলেন, যদি আমাদের নয়দফা দাবি সরকার মেনে না নেয় শিক্ষার্থীরা একদফা দাবি দিতে বাধ্য হবে। একদফা দাবি দিলে আর পালানোর সুযোগ পাবেন না।
বিক্ষোভ সমাবেশে সিলেটের মুরারারিচাদ কলেজের শিক্ষার্থী তাঞ্জিনা আক্তার বলেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন গন আন্দোলনে পরিনত হয়েছে। শ্রমজীবী থেকে ৪ বছরের শিশু পর্যন্ত এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছে। যতদিন প্রত্যেকটি হত্যার হিসাব দেওয়া না হবে আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন চলবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, পুলিশ তোদের রক্ষা নাই’, ‘আমার ভাই মরল কেন প্রশাসন জবাব চা ‘, ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই শহীদ কেন, প্রশাসন জবাব চা ‘, ‘আবু সাঈদ শহীদ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘স্বৈরাচরের গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘এক দুই তিন চার, শেখ হাসিনা গদি ছাড়’, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’- এরকম নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে শাবিপ্রবির পাশাপাশি সিলেটের মুরারিচাদ কলেজ, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, লিডিং উনিভার্সিটি, সরকারি কলেজ, মদনমোহন কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এসআই/
মন্তব্য করুন