কুবি প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বিক্ষোভ মিছিল করতে আসা শিক্ষার্থীদের বাঁধা প্রদানের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাসপেন্ড হওয়া এক সিকিউরিটি গার্ডের বিরুদ্ধে। তিনি ঘটনাস্থলে কয়েকজনের সাথে খারাপ ব্যবহার ও মারধর করেছেন বলে আন্দোলনকারীরা জানান। যদিও সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালায় বলা আছে, কোন সরকারি কর্মচারী কোন প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
বাঁধাদানকারী সাসপেন্ড হওয়া ওই সিকিউরিটি গার্ডটির নাম মোস্তফা কামাল। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রয়েছে। তবে মামলাটি কোন ধরনের সেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। থানা থেকে দেয়া লিখিত অভিযোগের কারণে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রায় ৪ মাস আগে সাসপেন্ড করেছিল বলে জানা যায়।
গত সোমবার ‘ছাত্র আন্দোলন চত্বর’-এ সরকার দলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এই সম্পর্কিত ছবি প্রতিবেদকের সাথে সংরক্ষিত আছে।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিধি-২৫ (১)–এ বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা তাদের অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোনোভাবে যুক্ত হতে বা কোনো প্রকারে অংশগ্রহণ বা সহযোগিতা করতে পারবেন না।
এ ব্যাপারে মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমার একটা জমি বিষয়ক পারিবারিক মামলা আছে। সে কারণেই সাসপেন্স অবস্থায় আছি। আর সেদিন ভার্সিটির স্টুডেন্টের যেন কোনো আপত্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে না হয় সে জন্য আমি দাঁড়িয়েছিলাম।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, ‘তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগকৃত সিকিউরিটি গার্ড। তার সাসপেন্ড হওয়ার বিষয়টি সত্য। একটি পারিবারিক ঝামেলার কারণে মামলায় বিষয়টি হয়েছে। গতকাল তার কার্যক্রমের ব্যাপারে জানা ছিল না। আমি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই বিষয়টি জানা ছিল না। কেউ অভিযোগ করলে আমরা দেখবো।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি।
এসআই/
মন্তব্য করুন