জাবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে দাবি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
রবিবার ( ১৭ মার্চ ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে ছাত্র ইউনিয়নের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সহকারী-সাধারণ সম্পাদক হাসিব জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাঠামোগত আত্মহত্যার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। যৌন নিপীড়ক শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর-প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ফলে যৌন নিপীড়কদের বাঁচাতে এই শিক্ষকরা প্রাণপণ চেষ্টা করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় যৌন নিপীড়ক গড়ে উঠে। অবন্তিকা আত্মহত্যার আগে দোষীদের নাম বলে গেছেন। তাই আমাদের একটাই দাবি এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘ফাইরুজ অবন্তিকা নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, শেষ পর্যন্ত তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। অবন্তিকার মৃত্যু টেকনিক্যাল মার্ডার। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টররা আজ রাঘব বোয়ালে পরিণত হয়েছে। রক্ষক ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষার্থীরা অত্যাচারিত হয়ে যখন প্রক্টরের কাছে অভিযোগ নিয়ে যায়, বিচার চায়, তখন তাদেরকে চুপ থাকতে বলা হয় কিংবা বহিষ্কার করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এর চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে। আমরা এ ধরনের নিপীড়ক প্রক্টরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফাইরুজ অবন্তিকা নামে এক শিক্ষার্থী প্রক্টর ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে দেয়া দীর্ঘ একটি পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় উত্তপ্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ১৫ মার্চ সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষক ও সহপাঠীকে।
এসআই/
মন্তব্য করুন