কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধি: উত্তরের হিমেল হাওয়া এখন পরিচিত হয়ে গিয়েছে নগরবাসীর কাছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই রাজধানীতে বাড়তে থাকে শীতের প্রকোপ। বিকেল থেকেই রাস্তার ভ্রাম্যমাণ দোকান গুলোতো শুরু হয় পিঠা বিক্রির ধুম।
শহুরে ব্যস্ত জীবনে শীতের গ্রামবাংলার পিঠা-পুলির যে ঐতিহ্য, সেটি যে ভুলে জাননি তারই প্রমান নগরের রাস্তার ধারের এই ধোঁয়া উঠা দোকানগুলো।শহুরে জীবনে ব্যস্ততার কারনে অনেকেই বাসায় পিঠা বানাতে না পারলেও, ভোজনরসিক হিসেবে শীতের পিঠা খেতে ঠিকই চলে আসেন ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকান গুলোতে।
সরেজমিনে, পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও লক্ষ্মীবাজার এলাকার রাস্তা ঘুরে জমজমাট পিঠা বিক্রির চিত্র দেখা যায়।একটু পর পরই ভ্যানের ওপর চুলা বসিয়ে নানা পদের পিঠা বিক্রি করছেন দোকানিরা।এর মধ্যে রয়েছে, ভাপা, চিতই,কুলি,নকশি পিঠা,তেলের পিঠা,পাটি সাপটা,মালপোয়া সহ নানা ধরনের পিঠা।
পিঠাগুলোর মধ্যে কদর সবচেয়ে বেশি ভাপা ও চিতই এর।প্রতিটি চিতই পিঠা বিক্রি হয় ১০ টাকা করে।এর সাথে রয়েছে মরিচবাটা,শুটকি,ধনিয়াপাতা,
কালোজিরা,ডাল,সর্ষে ভর্তা সহ হরেক রকমের প্রায় ১৯ রকম ভর্তা।যার জন্য দিতে হয়না আলাদা কোনো টাকা।এবং বাকি পিঠাগুলোও বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকার মধ্যে।
পিঠা খেতে আসা কবি নজরুল সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী মো: বিপ্লব তালুকদার বলেন,বাড়িতে থাকলে প্রতিনিয়তই পিঠা খাওয়া হতো। যখন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভ্রাম্যমান দোকানগুলো দেখি তখন লোভ সামলাতে পারি না।খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে গরম গরম পিঠা খাওয়াটাও অন্যরকম একটা মজা।উনারা পিঠা বিক্রি করেন বলেই আমরা শীতটা গ্রামের মতো উপভোগ করতে পারছি।আর দামও সাধ্যের মধ্যে আছে,তবে গতবছরের তুলনায় পিঠা আকারে কিছুটা ছোট করা হয়েছে।
পিঠা বিক্রেতা রাকিব হাসান বলেন,আল্লাহ্ দিলে তিন বছর ধরে আমি প্রতি শীতে এইখানে পিঠা বিক্রি করে আসতেছি।সন্ধ্যার পর থেকেই এখানে ভীড় জমতে শুরু হয়,অনেক রাত পর্যন্ত বিক্রি করতে থাকি।এখানে সকল ধরনের মানুষই আসে পিঠা খেতে,তবে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যাই বেশি। এই পিঠা বিক্রি করেই আমাদের ছয় জনের পেট চলে।তবে শীত চলে গেলে তখন আবার অন্য কাজ খুঁজতে হয় জীবন চালানোর জন্য।
এএকে/