শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি গার্ড (যমুনা সেইভ গার্ড সার্ভিস লিমিটেড কোম্পানির) নিয়োগে এক থেকে দেড়লক্ষ টাকা, নিরাপত্তা কর্মীদের হুটহাট বরখাস্ত, অসদাচরন, ব্যাক্তিগত কাজ করানো, শিডিউলের বাইরে ডিউটি ও সনাতনী নিরাপত্তকর্মীর সাথে বিরুপ আচরণসহ নানা অভিযোগ উঠেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এই কাজে থাকে যমুনা সেইভ গার্ড সার্ভিস লিমিটেড কোম্পানির শাবিপ্রবির সুপারভাইজার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সিনিয়র কর্মকর্তার মদদে এই অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন বলে জানিয়েছেন কর্মরত প্রায় শতাধিক নিরাপত্তাকর্মী। এছাড়া সরকারীভাবে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মীদের সাথেও অসদাচরণ করার অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
নিরাপত্তাকর্মী চয়ন দাসকে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী হাতে লাল সুতো বাঁধার কারণে ডিউটিতে জয়েন করতে দেয়া হয়নি। দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে শাহানুর নামে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। চিকিৎসা শেষে কাজে ফিরতে চাইলে চাকরি নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। শিডিউলের বাইরে ডিউটি করতে অসম্মতি জানালে হাজিরা কাটা, ওভার টাইম ডিউটি করলে পার্সেন্টোইজ দেওয়া ও ছুটিতে থাকা নিরাপত্তাকর্মীর নামে টাকা তুলে নেওয়াসহ নানা অভিযোগ এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এসব সকল বিষয়ে এর আগে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও ফলপ্রসূ কোনো সমাধান হয়নি।
এই নিয়ে গত শুক্রবার যমুনা সেইভ গার্ড সার্ভিস লিমিটেড কোম্পানির নিরাপত্তাকর্মীরা মো. সাইফুল ইসলামের প্রত্যাহার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে জড়ো হন। এসময় চাপে পড়ে অনৈতিক ভাবে চাকরি থেকে বাতিল করা তিনজন নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি ফিরিয়ে দেয় এই কর্মকর্তা। এবং নিরাপত্তাকর্মীদের চাপের মুখে নিজেও পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
এ বিষয়ে সকল অভিযোগ স্বিকার করে যমুনা সেইফ গার্ড লিমিটেড এর সুপারভাইজার হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সাথে যোগসূত্র করেই তিনি এসব অনৈতিক কাজে জড়িয়েছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম সকল বিষয় অস্বিকার করেন। তবে ব্যাক্তিগত কাজ করানোর বিষয়টি তিনি স্বিকার করেছেন।
/ইএইচ