শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: আধিপত্য বিস্তার ও হলের সিট দখলের পায়তারায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) সক্রিয় হয়েছে ছাত্রলীগের ‘বি’ টিম। যারা পূর্বে ছাত্রলীগের ছত্র ছায়ায় নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। এর অনেক প্রমাণ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীরা শেয়ার করেছে। এছাড়া ছাত্রলীগের মিটিং মিছিলে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
এদের মধ্যে গুটিকয়েক কোটা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অনেকেই সংহতি প্রকাশ করে নাই। বর্তমানে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে সাধারণ ছাত্র পরিচয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা সময়ে মিটিং করছে। এছাড়াও আবাসিক হলের রুমে রুমে গিয়ে খালি সিটের হিসাব করছে। এই কর্মকাণ্ড গুলো নিজেদের অস্থিস্ত টিকিয়ে রাখতে ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতাকর্মীরাই করছেন বলে মনে করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র মতে, বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিতাড়িত ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের মদদেই ছাত্রলীগের ‘বি’ টিমের নেতারা ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্র পরিচয়ে আবারো মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, যারা বর্তমানে আবাসিক হলের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছে। তারাই একটা সময় ছাত্রলীগের ছত্র ছায়ায় নানা অপকর্ম করেছে। তারা এখন নিজেদের সাধারণ পরিচয়ে হলে সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। তাদেরকে যদি সাধারণ ছাত্ররা প্রতিহত না করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আবারো ফ্যাসিস্টের দোসররা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠবে। এতে করে আবারো বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির সমন্বয়ক দেলওয়ার হোসেন শিশির বলেন, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে হলের বিষয়ে এরকম কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এই কাজগুলো যারা করছে আমরা মনে করছি আন্দোলনের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। কারণ তারা এই কাজগুলো আমাদেরকে অবগত করে করছে না। তারা হয়ত স্বৈরাচারের দোসর ছাত্রলীগের কোন এজেণ্ডা বাস্তবায়ন করতেই এগুলো করছে।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আধিপত্য ছিল। হলের প্রায় শিক্ষার্থীই এদের সমর্থনে অনেক অপকর্ম করে বেড়িয়েছে। এখন হয়ত তারাই নিজেদের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করে এসব করে বেড়াচ্ছে।
শিশির বলেন, ইতোমধ্যে আমরা হলে তুলার ব্যাপারে কিছু ক্রাইটেরিয়ার কথা প্রস্তাব করেছি। যেমন রেজাল্ট, আর্থিক অবস্থাসহ আরো কিছু বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আমরা হলে শিক্ষার্থী তুলার ব্যাপারে ডিসিশন নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করা হলে আমরা এই বিষয়গুলো উপর জোড় দেওয়ার দাবি জানাব।
এসএস/
মন্তব্য করুন