এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
সোমবার (২৬ আগস্ট) সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আচার্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সম্মতি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে চাপের মুখে ১০ আগস্ট পদত্যাগ করেন সেই সরকারের নিয়োগকৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল। ড. নিয়াজ আহমেদ খান বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩০তম ভিসি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, নিয়াজ আহমেদ খানের জন্ম ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রামের লোহাগড়ার চুনতি গ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক এবং ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর করার পর তিনি ইনস্টিটিউট অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেন।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর উপউপাচার্য ও উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক (গ্রেড-১) ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি অফ গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে এর সিনিয়র একাডেমিক অ্যাডভাইজার এবং সেন্টার অফ রিসোর্সেস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইন এলিজাবেথ হাউসে ‘দক্ষিণ এশীয় ফেলো’, ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রিসার্চ ফেলো’, মিসরের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন কায়রোতে ‘ডিস্টিংগুইসড ভিজিটিং রিসার্চার’, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ইউমেনের ‘ডিস্টিংগুইসড ভিজিটিং প্রফেসর’, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ‘অধ্যাপক’, থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ‘এশিয়ান রিসার্চ ফেলো’ এবং অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভারসিটির ‘ভিজিটিং স্কলার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আমেরিকান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, যুক্তরাজ্য সরকারের সোয়ানসি-বে রেশিয়াল ইকুইটি কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রকল্প ও কর্মসূচিতে উপদেষ্টা ও পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অধ্যাপক ড. খান মর্যাদাপূর্ণ কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মাননাসহ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে পোস্ট ডক্টোরাল গবেষণা সম্পাদন করেন। তিনি দুই শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও বইয়ের রচয়িতা। এ ছাড়াও তার তত্ত্বাবধানে বর্তমানে দেশে এবং দেশের বাইরের ১৭ জন পিএইচডি গবেষক এবং আটজন এমফিল গবেষক গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।
এসএস/
মন্তব্য করুন