এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ছুটির দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন আবাসিক হল পরিদর্শন করেছেন। প্রাধ্যক্ষবিহীন এই হলগুলোতে যাওয়ার পর প্রাধ্যক্ষের চেয়ারে বসতে দেওয়া হলেও তাতে না বসে হাউস টিউটরদের সঙ্গে বসেছেন। এই বিনয়ী আচরণের কারণে মুগ্ধ হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। প্রশংসায় ভাসছেন উপাচার্য।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, জিয়া হল ও বিজয় একাত্তর হলে ঘুরে শিক্ষার্থী এবং হাউস টিউটরদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন উপাচার্য। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, হলগুলোতে গিয়ে ঢাবি উপাচার্য শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নেন, কোনো দাবি-দাওয়া আছে কিনা বা কারো কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চান। শিক্ষার্থীরাও তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এছাড়া হলগুলোর হাউস টিউটররাও সার্বিক বিষয়ে উপাচার্যকে অবহিত করেন। এ সময় শেখ মুজিব হল ও জিয়াউর রহমান হলের হাউস টিউটররা তাকে প্রভোস্ট চেয়ারে বসার অনুরোধ জানালে চেয়ারের সম্মানে তাতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে শেখ মুজিবুর রহমান হলের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আরাফাত হোসাইন ভূঁইয়া ফেসবুকে লেখেন, নবনিযুক্ত ভিসি স্যার আজ আমাদের হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে আসেন। ভিসি স্যারকে হাউস টিউটর স্যাররা বারবার প্রভোস্ট স্যারের চেয়ার এগিয়ে দিলেও স্যার তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, ‘যার চেয়ার সেখানে তিনিই বসবেন’। এটাই পরিবর্তন। এটাই মুগ্ধতা।
আরাফাতের স্ট্যাটাসের কমেন্ট বক্সে মুখলেসুর রহমান রাফিদ নামে এক শিক্ষার্থী লেখেন, যোগ্যরা যোগ্য স্থানে গেলে বিনয়ী হয়, আর অযোগ্যরা যোগ্য স্থান পেলে অহংকারী হয়!
এবি যুবাইর নামে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী তার টাইমলাইনে লেখেন, এমন বিনয়ী, নিরহংকার এবং একইসঙ্গে যোগ্য উপাচার্যই শিক্ষার্থীরা চেয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ কালবেলাকে বলেন, আজ উপাচার্যসহ আমরা তিন হলে গিয়ে শিক্ষার্থী ও হাউস টিউটরদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষার্থীরা কেমন হল দেখতে চায়, প্রভোস্ট ছাড়া তারা কীভাবে অর্গানাইজ করে চলছে এবং সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
এসএস/
মন্তব্য করুন