কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) থেকে ভর্তি বাতিল করতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মোশাররফ হোসেনের দ্বারা মানসিক হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মাঈশা মোবাশ্বিরা হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি ছিলেন।
রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া অভিযোগপত্রে মাইশা উল্লেখ করেন, ‘ভর্তি বাতিল সংক্রান্ত কাজে প্রশাসনিক ভবনের ২০৮ নং রুমে যাওয়ার পর একজন কর্মকর্তার (মোশারফ হোসেন) দ্বারা উগ্র আচরণ ও মানসিক হয়রানির শিকার হই। তিনি উগ্রভাবে ‘ভর্তি বাতিল করছিলাম কেন, বাপের টাকা বেশি হয়েছে কিনা, বাপের টাকা নষ্ট করছি’ ইত্যাদি কথা বলে আমাকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করে। উল্লেখ্য, আমার বাবা নেই, এভাবে বাবা তুলে কথা বলাতে আমাকে আরও বেশি আঘাত করেছে। অতএব, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোবাশ্বিরা হোসেনের সাথে অভিযোগের ব্যাপারে জিগ্যেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি ভর্তি বাতিলের জন্য আজকে ১২টা নাগাদ উনার কক্ষ ২০৮ এ গেলে উনি আমার সাথে উগ্র আচরণ করেন। একপর্যায়ে আমার বাবাকে নিয়ে কথা বলেন, আমার বাবা নেই। উনি এমন ব্যবহার করতে পারেন না। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি।’
তবে অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করেন অভিযুক্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মোশাররফ হোসেন৷ তিনি বলেন, ‘আমি তার সাথে কোনো উগ্র আচরণ করিনি। দেশের এই সময় কেউ-ই ভর্তি বাতিল করছে না, তাই আমি জানতে চেয়েছি সে কেন করতে চাচ্ছে। অভিভাবকের জায়গা থেকে শুধু উপদেশ দিয়ে বলেছিলাম যে, সাংবাদিকতা তো ভালো সাব্জেক্ট এটা ছেড়ে প্রাইভেটে পড়তে যাবার কী দরকার? কিন্তু সে এটাকে মাইন্ডে নিবে ভাবিনি, আমি এর জন্য দুঃখিত।’
এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এটি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসএস/
মন্তব্য করুন