জাককানইবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ এবং ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছে একের পর এক নিরীহ বাংলাদেশী । তাই প্রশ্ন উঠেছে ফেলানি থেকে স্বর্ণা দাস হত্যার শেষ কোথায় ? ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফের ‘দেখা মাত্র গুলি’ নীতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুর ২.৩০ (আড়াইটার) সময় স্বর্ণা দাস হত্যাসহ সীমান্তে সকল হত্যার বিরুদ্ধে কুটনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয় । এসময় শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট দাবি করেন সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর এই বর্ববরচিত হত্যা বন্ধে অবলম্বে ব্যবস্হা নিতে এবং কুটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যারা খুনের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার।
এসময় সমাবেশরত এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ হতে বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সীমান্তে কঠোর তৎপরতা বাড়ানো হোক তারা আমাদের নিরাপত্তা দিবে । আপনারা পররাষ্ট্রনীতি আরো কঠোর করুন। কোন নতজানু পররাষ্ট্রনীতি আমরা মেন নেব না। এ সময় তিনি বলেন আমরা বারবার রক্ত দেওয়ার জাতি । বারবার রক্ত দিয়ে আমরা এদের স্বাধীন করেছি। যদি আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সীমান্তে দাঁড়িয়ে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনী কে বলি বুকের ভিতর দাড়ুন ঝড় বুক পেতেছি গুলি কর তাহলে এই ভারতীয় বাহিনী পালানোর জায়গা পাবে না।
পরিসংখ্যান বলছে গেল দশ বছরে বাংলাদেশ ভার সীমান্তে ৪শ’র অধিক বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে যা প্রতি ১২ দিনে ১ জন । গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর থেকে বেড়েছে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের তৎপরতা। এতে হঠাৎই আবারও বেড়েছে সীমান্তে হত্যা। গত ১ লা সেপ্টেম্বর ১১ বছরের কিশোরী স্বর্ণা দাস কে মৌলভীবাজার সীমান্তে গুলি করে হত্যার পরে আজ ৯ সেপ্টেম্বর বিএসএফের গুলিতে আবারও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ঝড়লে কিশোর জয়ন্ত কুমারের প্রাণ। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন এ হত্যার শেষ কোথায় ? বাংলাদেশ কি পারবে কুটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে।
/ইএইচ
মন্তব্য করুন