জবি প্রতিনিধি:
স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর মাঝে কোনো বিভাজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাংসদ ও আইনজীবী তারানা হালিম। তিনি বলেন, ‘এই বিভাজন থাকা উচিত নয়, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বিষয়টা আমাদের তুলে ধরতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কোনো বিভেদ থাকতে পারে না এবং জাতির জনক সম্পর্কেও স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো বিভেদ থাকতে পারে না।’
সোমবার (২৫ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে গণহত্যার শিকার শহিদদের স্মরণ এবং এই গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে ‘একাত্তরের গণহত্যা: ইতিহাসের দায় ও আমাদের দায়িত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার রাজনৈতিক আদর্শ যদি সমাজে প্রতিফলিত হতো তাহলে আমাদের সমাজে সবাই রাজনীতিবিদই হতে চাইতো। বিশ্বের প্রতিটি প্রজন্ম প্রকৃত সত্তা খোঁজ করার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে আর আমরা উল্টোটা করছি। আমাদের শিকড় জানতে হবে, ইতিহাস জানতে হবে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী।
উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, ‘যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিরোধীতা করেছিলেন তারাই রাজনৈতিক অপব্যাখ্যার মাধ্যমে সংখ্যাতাত্ত্বিক অপপ্রচার করেই যাচ্ছে। যার কারণেই দীর্ঘ ৫০ বছর পার হলেও আমরা আন্তর্জাতিক জেনোসাইডের স্বীকৃতি আনতে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছি।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম বলেন, ‘একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষে আমাদের জেনোসাইড পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: আব্দুস সামাদ। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন এবং সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারহানা জামান ও লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামীমা আক্তার। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, সাংবাদিক প্রতিনিধি এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এএআর/
মন্তব্য করুন