জামালপুর প্রতিনিধি: জনাব ইসরাত জাহান ১৯৮৮ সালে পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার জালাসীপাড়ার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ২০০৩ সালে পঞ্চগড় গার্লস স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে ২০০৯ সালে ১ম শ্রেণীতে শিক্ষায় (বি.এড) স্নাতক এবং ২০১০ সালে শিক্ষায় ১ম শ্রেণীতে (এম.এড) স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।
২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্যতম শিক্ষা বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র জাগো ফাউন্ডেশনে কৃতিত্বের সাথে নানা গবেষণার কাজে লিপ্ত ছিলেন। ২০১৬ সালের সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের মাধ্যমে ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) হিসেবে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই) রংপুরে যোগদানের মাধ্যমে সরকারি চাকুরি শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি পিটিআই কুড়িগ্রাম, পিটিআই পঞ্চগড় এবং বর্তমানে বৈবাহিক সূত্রে পিটিআই জামালপুরে কর্মরত আছেন।তার স্বামী সাদী আল সিরাজী তিনিও শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪ বাচাই কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ও সদস্য সচিব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সদ্য ঘোষিত প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪ এ জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পিটিআই ইন্সট্রাক্টর হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। জামালপুর জেলার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৮ জন শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের অন্যতম তিনি।
শিক্ষা,প্রশিক্ষণ,মূল্যায়নের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে তিনি সব সময় শিক্ষকদের কল্যানে কাজ করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। তিনি ১৮ মাস ব্যাপী ডিপিএড প্রশিক্ষণের মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে কাজ করেছেন। বর্তমানে চলমান ১০ মাস মেয়াদী বিটিপিটি প্রশিক্ষণেও দক্ষতার সাথে মাল্টিমিডিয়া ও আইসিটি টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তিনি জামালপুরের ৭ টি উপজেলায় উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের মাধ্যমে শিক্ষাক্রম বিস্তরন বিষয়ক প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন । ইনডাকশন, লিডারশীপ,একাডেমিক সুপার ভিশন, প্রাক-প্রাথমিক সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষন গ্রহণ করে ট্রেইনার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের প্রতিভা বিকাশে নিয়মিত ‘দেওয়াল’ পত্রিকা প্রকাশ করেন। বিভিন্ন প্রশিক্ষনে নতুন নতুন বিষয়গুলোর সাথে পরিচয় করানো এবং সে অনুযায়ী পাঠদান নিশ্চিত করার জন্য পিটিআইকে সহযোগীতা করেন ।
তিনি যেখানেই কর্মরত ছিলেন সেখানেই এ সকল বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে প্রশিক্ষন কাজ পরিচালনা করে আসছেন। সেই সাথে বিদ্যালয় মনিটরিং, সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ, সাংস্কৃতিক ভাবে শিক্ষকদের কাজে সহায়তা করা, বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে উপকরণ তৈরিতে শিক্ষকদের তথা শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পাঠদানকে আরও আকর্ষনীয় করতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করছেন।
চাকরী জীবনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (NEPE) কর্তৃক আয়োজিত মৌলিক প্রশিক্ষনসহ DPE, NCTB, NEAM, PTI তে অনুষ্ঠিত অন্যান্য প্রশিক্ষন সাফল্যের সাথে সমাপ্ত করেন। এছাড়া প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে তিনি Competency based item, Marking and Test Administration এবং বিষয় ভিত্তিক পেশাগত শিক্ষা, শিশুর বিকাশ নিয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষন সম্পন্ন করেছেন।কারিকুলাম প্রশিক্ষণের কাজে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন।
অত্যান্ত পরিশ্রমী, দক্ষ,কর্মঠ এ শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও তাদের শ্রেণি পাঠদান আকর্ষনীয় ও ডিজিটালাইজেশনের উপর গুরুত্ব প্রদান করেন। একজন শিক্ষকের আন্তরিকতা,নিষ্ঠাবান ও আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষাকে আধুনিকায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে নিজেকে নিবেদিতপ্রাণ একজন কর্মী হিসেবে সারা জীবন কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করেন জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী এ শিক্ষা কর্মকর্তা।
এবি/
মন্তব্য করুন