জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে বৈশাখী চারু শিল্প মেলা। সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে শিল্প ও চারুকলাকে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর সপ্তাহব্যাপী জবিতে চারু শিল্পমেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের নিচতলায় আয়োজিত এই মেলায় চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পেইন্টিং করা ছবি, সরাচিত্র, মুখোশ, টেপাপুতুল এবং অন্যান্য শিল্পকর্ম গ্যালারির স্বাভাবিক দামের চেয়ে অত্যন্ত কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রায় অর্ধ লাখ টাকা মূল্যের (গ্যালারিতে থাকা অবস্থায় দাম) বিশেষ কিছু পেইন্টিং করা ছবি এই মেলায় ১০-১৫ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। শিক্ষকদের পেইন্টিংকৃত ছবি ৫০০-১০০০ টাকা মূল্যে এবং শিক্ষার্থীদের ছবি ২৫০-৩০০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। সকল শিল্পপণ্যই স্বল্প মূল্যে কেনার সুযোগ আছে মেলায়।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত মেলাটি চলবে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে ঈদের পর ২-৩ দিন বর্ধিত করা হতে পারে সময়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে মেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ বছর চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিল্পকর্ম নিয়েই মেলা আয়োজন হলেও পরবর্তী বছরগুলোতে স্বনামধন্য শিল্পীদের ছবি আঁকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে অনুষদের পক্ষ থেকে।
বুধবার (২৭ মার্চ) চারু শিল্পমেলাটি উদ্ধোধন করেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আলপ্তগীন তুষার এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামসহ বিভাগটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, নির্ধারিত স্টলে শিক্ষার্থীরাই বসছেন এবং শিল্পকর্ম বিক্রি করছেন। শিল্পকর্ম দেখার জন্যও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি রয়েছে।
জবির চারুকলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, পহেলা বৈশাখকে ঘিরে ‘নব আনন্দে, তব উল্লাসে’ স্লোগানকে সামনে রেখে বৈশাখী চারু শিল্পমেলা আয়োজন করেছে চারুকলা অনুষদ। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছবি আঁকছে, সেই ছবি স্বল্প মূল্যে সবার মাঝে পৌঁছে দিতেই মূলত আয়োজনটি করা হয়েছে। আমরা চাই প্রতি বছর এই আয়োজন আরও বড় পরিসরে হোক। মেলা থেকে আয়কৃত অর্থ বৈশাখের ফান্ডে যুক্ত হবে।
জবির চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আলপ্তগীন তুষার বলেন, শিল্প ও চারুকলা কেবল সমাজের উচ্চবিত্ত মানুষ নয় বরং মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের মাঝে পৌঁছে দিতেই এই আয়োজন। মেলাটির পরিকল্পনা ও উদ্যোগ চারুকলা অনুষদের। সবাই সহজেই চারু শিল্পের কাছে আসতে পারবে, ছবির গুরুত্ব বুঝতে পারবে এই উদ্যোগের ফলে। ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধভাবে মেলাটি আয়োজন করার চেষ্টা করা হবে।
এসআই/
মন্তব্য করুন