ববি প্রতিনিধি:
ছাত্রছাত্রীদের জন্য নির্যাতনমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) যাত্রা শুরু করলো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা “সোচ্চার টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ’ এর স্টুডেন্টস ক্লাব “সোচ্চার স্টুডেন্টস’ নেটওয়ার্ক”।
প্রথম ক্লাব হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাবটি যাত্রা শুরু করলো। সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুকুল আহমেদকে সভাপতি ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন আলীকে ক্লাবের প্রাথমিক কমিটি ঘোষনা করা হয়। এছাড়া সহ- সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন- বাংলা বিভাগের মোহাম্মদ ইউসুফ, ইংরেজি বিভাগের ফোরকান আলী ও আইন বিভাগের মোহাম্মদ ইসমাইল।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল নয়টায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম জুমে প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়। সোচ্চারের ভিক্টিম সাপোর্ট বিভাগের ডিরেক্টর ড. মাহফুজুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সোচ্চার ও সোচ্চার স্টুডেন্ট নেটওয়ার্কের লক্ষ্য উদ্দেশ্য, কার্য্যক্রম ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন সোচ্চারের প্রেসিডেন্ট ড. শিব্বির আহমদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমরান হোসেন, সোচ্চারের সেক্রেটারি কামরুল ইসলাম, ট্রেজারার বোরহান উদ্দিন, মিডিয়া ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম মাহফুজ।
ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন- এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করতে ভূমিকা রাখবে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্কের প্রথম কার্যক্রম শুরু হওয়ায় তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন- এই নেটওয়ার্ক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য তিনি অনুপ্রাণিত করেন এবং এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমরান হোসেন তাঁর বক্তব্যে এই উদ্যোগের জন্য সোচ্চারকে ধন্যবাদ জানান এবং শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য অনুপ্রাণিত করেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি, ক্যাম্পাস টর্চারের ভিক্টিম, মুকুল আহমেদ বলেন, আমি নিজে ক্যাম্পাস টর্চারের ভিক্টিম হিসেবে জানি নির্যাতিত একজন ছাত্র কতটা অসহায় বোধ করে। আমি সোচ্চারের কাছে কৃতজ্ঞ আমি নির্যাতিত হওয়ার পর তারা আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো বলে আমি ঘুরে দাঁড়াতে সাহস পেয়েছি। ক্যাম্পাসে যেন কেউ আমার মতো ভিক্টিম না হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করবো।
উল্লেখ্য, ক্যাম্পাস-কেন্দ্রিক মানবাধিকার অ্যাক্টিভিজম, ক্যাম্পাস নির্যাতন ডকুমেন্টেশান, নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে অ্যাডভোকেসি করা, ও তরুন মানবাধিকার অ্যাক্টিভিস্ট তৈরির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সোচ্চার-টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ‘সোচ্চার স্টুডেন্টস’ নেটওয়ার্ক’ নামে স্টুডেন্ট ক্লাব গঠন করছে।
/ইএইচ
মন্তব্য করুন