বেরোবি প্রতিনিধি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক বড় ভাইয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়ে এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম ইমাম আফ্রিদি আগুন। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১১তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি যশোরের বাঘাপাড়ায়।
জানা যায়, আফ্রিদি রবিবার (১৪ এপ্রিল) একই বিভাগের ১০ম আবর্তনের শিক্ষার্থী সৌখিনের বাড়ি পীরগঞ্জের রাজারামপুরে দাওয়াত খেতে যায়। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে স্থানীয় দর্শনীয় জায়গা ঘুরে রাতে তাদের বাড়িতেই অবস্থান করে। সৌখিনসহ আজ তার ক্যাম্পাসে ফেরার কথা ছিল।
এ বিষয়ে সৌখিন বলেন, আফ্রিদির সঙ্গে আমার অনেক ভালো সম্পর্ক। সে ঈদে বাড়িতে না যাওয়ায় তাকে আমাদের বাড়িতে ঈদ করতে বলি। কিন্তু সে বিসিএস পরীক্ষার জন্য ভালো করে প্রস্তুতি নিবে বলে জানিয়ে যেদিন আমি ক্যাম্পাসে ফিরব তার একদিন আগে যেন তাকে (আফ্রিদি) জানাই। সে আগেরদিন এসে পরেরদিন আমরা সঙ্গে ক্যাম্পাসে যাবে।
পরে গতকাল বিকাল পাঁচটার দিকে আফ্রিদি আমাদের বাড়িতে আসে। খাওয়া-দাওয়া করে একটু আশেপাশের জায়গায় ঘোরাঘুরি করে রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা সামনে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে গল্প করতে করতে রাত প্রায় একটায় ঘুমিয়ে পড়ি। পরে সকালে খাওয়ার জন্য তাকে ডাকতে গেলে তার কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজনকে ডাকি। পরে বাড়ির লোকজন পাড়ার এক গ্রাম্য ডাক্তারকে ডেকে আনে এবং ডাক্তার তাকে দেখার পর মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। আফ্রিদি গতকাল ওর বিভাগের বড় ভাইয়ের বাড়িতে যায়। ওখানে সারাদিন খাওয়া-দাওয়া, ঘোরাফেরা শেষে রাতে ঘুমায়। তবে সকালে তাকে আর ঘুম থেকে তোলা যায়নি। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের সঙ্গে ওর পরিবারের যোগাযোগ হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা মরদেহে নিতে ইতোমধ্যে রওনা হয়েছেন।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে আমাদের কাছে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে হয়েছে। আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি, তার পরিবার মরদেহ নিতে আসছে তারা যদি অভিযোগ দেয়, তাহলে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এসআই/
মন্তব্য করুন