spot_img

৭ মার্চ সৃষ্টি হয়েছিল বলেই আমরা ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর পেয়েছি: ড. সৌমিত্র শেখর

এসম্পর্কিত আরো পড়ুন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: ৭ মার্চের ভাষণের ফসল মূলত আমাদের মুক্তি সংগ্রামের, মুক্তি যুদ্ধের দিক নির্দেশনা মন্তব্য করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, ৭ মার্চ সৃষ্টি হয়েছিল বলে আমরা পরবর্তীতে পেয়েছি ২৬ মার্চ, ২৬ মার্চ পেয়েছি বলে আমরা পেয়েছি ১৬ ডিসেম্বর। আর ১৬ ডিসেম্বর পেয়েছি বলে আমরা আজকে যে যার অবস্থানে রয়েছি। এ কারণে আমাদের দায়িত্ব হলো- এ দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ: স্বাধীনতার দিক দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজনীয়তায় ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করায় আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি।

- বিজ্ঞাপন -

৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের শুরুতে বাঙালির বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরেছেন, এরপর বাঙালিদের আত্মত্যাগ, রক্তদানের কথা বর্ণনা করেছেন। এরপর তিনি চলমান আন্দোলন সংগ্রামে প্রবেশ করেছেন। এরপরে আমাদের করণীয় সম্পর্কে তিনি সুষ্পট নির্দেশনা দিয়েছিলেন। অনেক সুন্দর করে তিনি সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

৭ মার্চের ভাষণের মূল্যায়নে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, শুধু আজকের প্রেক্ষিতে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। বরং ব্যাখ্যা করতে হবে ওই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। কারণ পাকিস্তানের শোষণের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু একটি ‘সময় বোমা’র বিস্ফোরণ করেছিলেন। এই সময় বোমাটির খুব প্রয়োজন ছিল তখন। এত সুন্দর করে তিনি এই ১৮ মিনিটের সময় বোমাটির বিস্ফোরণ করেছিলেন যেটি পরবর্তীকালে পুরো বাঙালি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। এর পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু নিজে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করে যেতে হবে। আর এখন তিনি ডাক দিয়েছেন স্মার্ট বাংলাদেশের। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে যে যার জায়গায় থাকি না কেন, আমাদের নিজেদের কাজ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

এসময় তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ, ভাষা শহিদ ও ১৫ আগস্টের নির্মম ঘটনায় শহিদ সকলকে স্মরণ করে ৭ মার্চ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করে আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার।

আলোচনা করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা, ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ মো. জালাল উদ্দীন, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, কর্মচারী সমিতি (গ্রেড ১১-১৬) সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, কর্মচারী ইউনিয়ন (গ্রেড ১৭-২০) সভাপতি রেজাউল করিম রানা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আয়োজক কমিটির সদস্য-সচিব কল্যাণাংশু নাহা।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে বুধবার দিবাগত ১২টা থেকে ক্যাম্পাসে ঐতিহাসিক সাত মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। পরদিন সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/

spot_img
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ প্রকাশিত

spot_img