বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির নেভাল আর্কিটেকচার এ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৬ষ্ঠ ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুজ্জামান নূর রিজভী গত ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিমেল ওয়াশরুমের উপর দিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে গোপনে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকার ভিডিও গ্রহনের সময় হাতেনাতে ধরা পরে।
অনিবার্য কারনে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত শিক্ষিকা ভিডিও গ্রহনের সময় রিজভীকে দেখে ফেললে চিৎকার করে ওঠেন। ঘটনা স্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে পরবর্তীতে সাধারণ জনতা এবং শিক্ষার্থীরা মিলে রিজভীকে আটক করে।
জানা গেছে, মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির মেঘনা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ওয়াশরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে মোবাইল ফোনে নারী শিক্ষার্থীদের ভিডিও ধারণ করতো সে প্রায়ই। পরবর্তীতে তার মোবাইল তল্লাশি করে ধারণকৃত কিছু অশ্লীল ভিডিও পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই শিক্ষার্থী ভিডিও করার বিষয়টি স্বীকার করে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারধর করা হয় এবং পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
শেষ খবর পাওয়া ওবদি পুলিশের সাথে একাধিক বার আলোচনার পরেও পুলিশ কেইস নিতে অস্বীকার করে এবং উক্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিতান্তই নীরব ভূমিকা পালন করছে।
উক্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট এন্ড লজিস্টিকসের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অন্বেষনা বণিক জানায়- “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর সঠিক বিচার চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা সকল মেয়েরাই এখন অনিরাপদ। প্রশাসনকে এর জবাবদিহিতা করতে হবে অবশ্যই। ”
জানা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীরা উক্ত অপরাধীকে জুতা পিটা করবার সময় সে পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু তাকে রাস্তার সাধারণ জনতা ও শিক্ষার্থীরা আটক করে।
উল্লেখ, আশরাফুজ্জামান নূর রিজভী জনপ্রিয় এবং নারী কেলেঙ্কারির জন্য বহুল সমালোচিত এডটেক প্রতিষ্ঠান ACS এর একজন কর্মকর্তা।
এসএস/