সাইফুর রহমান, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের বাইরে উৎকণ্ঠায় অপেক্ষায় অভিভাবকরা। ভেতরে কঠোর নজরদারির মধ্যে পরীক্ষা চললেও বাইরে ভিড় জমিয়েছেন স্বজনরা। আজ সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের আশেপাশে এ চিত্র দেখা গেছে।
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা আজ অনুিষ্ঠত হয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় গুচ্ছ ভর্তিযুদ্ধ।
সরজমিনে দেখা গেছে, ভেতরে পরীক্ষা চলতে থাকলেও কেন্দ্রের বাইরে যেন ভিন্ন এক পরিবেশ। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদের কারও হাতে তসবিহ, কেউবা হাত তুলে করছেন দোয়া, কেউ কেউ মানসিক চাপ কমাতে করছেন পায়চারি। বাবা, মা ও স্বামীসহ সব অভিভাবকরাই যেন একরকম উৎকণ্ঠা নিয়ে এভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষায় রয়েছেন।
এ দিন সকাল ১০টার পর পর কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা এসে উপস্থিত হতে শুরু করেন। প্রতিটা শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও কেন্দ্রগুলোতে এসে হাজির হন। পরে ছেলে ও মেয়েদের আলাদা লাইনের মাধ্যমে তল্লাশী করে ভেতরে প্রবেশ করানো হয়।
আসন খুঁজে দিতে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যরাও ভেতরে প্রবেশ করতে চাওয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনসিসির সদস্যদের বাঁধার মুখে তারা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন।
কেন্দ্রের সামনে দেখা যায়, পরীক্ষার্থীরা হলে ঢুকে যাওয়ার পর থেকেই সেখানেই অবস্থান করছেন অনেক অভিভাবক। কেন এই উদ্বিগ্নতা জানতে চাইলে তারা জানিয়েছেন, ‘সন্তানরা ঠিকমতো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকলেও অস্থিরতা উদ্বিগ্নতা লাগে। এছাড়া ছেলেমেয়েরা পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিলে টেনশন কাজ করে।’
নুসরাত জাহান নামের আরেক পরীক্ষার্থীর মা রওশন আরা। তিনি বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসেছে আমার মেয়ে। তাই কিছুটা টেনশন হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত টেনশন থাকবেই। টেনশন কমাতে ও মেয়ের পরীক্ষা যেন ভালো হয় সেজন্য দোয়া করছি। যাদের সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে তারাই বোঝে এ টেনশন কেমন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, ঢাকাতে জবিসহ উপকেন্দ্রগুলো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। জবি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫৭৯ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজার, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজার এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের আসন বিন্যাস সাজানো হয়েছে।
এসআই/
মন্তব্য করুন