শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দ্রুত নির্বাচন দাবিসহ চারদফা দাবি জানিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
বুধবার (১২ মার্চ) সকালে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহ মো. আতিকুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ, দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নারীর প্রতি অবমাননা ও সহিংসতার ক্রমবর্ধমান প্রবণতা, এবং ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকর ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার কারণে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চার দফা দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। চার দফার মধ্যে রয়েছে ‘দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা’; ‘নারীর প্রতি অবমাননা, হয়রানি ও সহিংসতা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা’; ‘ধর্ষণের অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা’ এবং ‘দেশে অবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া’।
বিজ্ঞাপ্তিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সমাজ থেকে যৌন সহিংসতা নির্মূল করা রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীদের প্রতি অবমাননা, নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে, যা সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার জন্য চরম হুমকিস্বরূপ। অপরাধীরা যদি দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পায়, তবে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব হয়ে পড়বে এবং অপরাধের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।
এতে আরও বলা হয়, বর্তমান শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা এবং গণতান্ত্রিক শাসনের অভাবের ফলে দেশে নৈরাজ্য ও অনিয়ম ক্রমশ বাড়ছে। একটি গণতান্ত্রিক ও দায়িত্বশীল সরকার ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়। তাই দেশে অবিলম্বে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয়বাদী শিক্ষক ফোরাম আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এএকে/