spot_img

কুবির ২২ শিক্ষার্থী বার কাউন্সিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

এসম্পর্কিত আরো পড়ুন

কুবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ২০২৪ সালের পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২২ জন শিক্ষার্থী।

রোববার (১০ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক।

- বিজ্ঞাপন -

আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় এ বছর দুই হাজার ৯৭৩ জন উত্তীর্ণ হন৷ এর মধ্যে কুবি থেকে আছেন মোট ২২ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়টির ১০ম ব্যাচ থেকে ৮ জন এবং ১১তম ব্যাচ থেকে ১৪ জম শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ম ব্যাচ ও আইন বিভাগের প্রথম ব্যাচ থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন মো. শামীম আহমেদ, শাকিলা জাহান, মাহমুদা আক্তার, রায়া ভট্টাচার্য, উম্মে ফাতেমা তুজ জোহরা, হিল্লোল কান্তি দাস, মহিব্বুল হক, ফাহমিদা বিনতে মতিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচ ও বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচ থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন রাকিব মাহমুদ, মো. রাসেল মিয়া, মো. মূসা ভূঁইয়া, মো. তারিকুল ইসলাম, সামিয়া হক রিভা, সজীব কুমার, তারেকুল ইসলাম, মুনতাসিরুল ইসলাম ইমন, মো. মামুন হাওলাদার, সালামত উল্ল্যাহ সালাম, আদনান কবির, মো. শিহাব উদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ, মো. তাজুল ইসলাম সতন।

১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মূসা ভূঁইয়া বলেন, ‘সপ্তম বার কাউন্সিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করছি। আমার মায়ের কাছে শুনেছি বাবার নাকি স্বপ্ন ছিলো মেঝো ভাইকে উকিল বানাবেন। কিন্তু সে সময়ে পারিবারিক আর্থিক অসচ্ছলতাসহ পারিপার্শ্বিক কারনে মেঝো ভাই উকিল হতে পারেননি। বাবা আমার ছোট বেলাতেই জান্নাতবাসী হয়ে চলে যান। মেঝো ভাইকে নিয়ে বাবার দেখা সেই স্বপ্ন আমার মাধ্যমে পূরণ হওয়ায় আমার পরিবার খুবই আনন্দিত।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার সাথে এবার ব্যাচের আরো ১৩ জন বন্ধু এবং ৮ জন বড় ভাই এডভোকেট হয়েছেন। নিজের মেধা ও যোগ্যতার যথাযথ ব্যবহার করে সৎ থেকে যাতে বিচারপ্রার্থী মানুষজনকে সেবা দিয়ে তাদের আস্থার প্রতীক হতে পারি সেজন্য সকলের দোয়াপ্রার্থী আমি।’

এ বিষয়ে আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘আমাদের দুইটি ব্যাচ ইতোমধ্যেই অনার্স ও মার্স্টার্স শেষ করেছে৷ আরো দুইটি ব্যাচেরও অনার্স শেষ। এখনও আমাদের বিভাগ প্রথম পর্যায়ে আছে। গত বছর ১২ জন এবং এবছর ২২ জন এরই মধ্যে এই এডভোকেটশিপ পেয়েছে। এ বিষয়টি আমাদের জন্য ভালো।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনেকে বলেন আইন বিষয়ে পাশ করলেই এডভোকেট হয়ে যায়। আসলে বার কাউন্সিলে তিন ধাপে- প্রিলি, লিখিত ও ভাইবা শেষ করেই এখানে আসতে হয়। আমাদের রেজাল্টগুলোও এমনভাবে দেওয়া হয় যে বার কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী যে ছয় মাসের ইন্টার্ন থাকে তা শেষ করে সময় অনুযায়ী একই সার্কুলারে আবেদন করতে পারে না৷ সামনে ১৭তম জুডিশিয়ারির সার্কুলার আছে৷ আশা করি শিক্ষার্থীরা সেখানে তাদের সাফল্যের ছাপ রাখবে৷’

এসআই/

spot_img
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ প্রকাশিত

spot_img