ইবি প্রতিনিধি: র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩ শিক্ষার্থীকে এক বছরের (২ সেমিস্টার) জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া একই ঘটনায় ২ জনকে কঠোরভাবে সর্তক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (২ মে) ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানা যায়।
দুই সেমিস্টারে বহিস্কৃতরা হলেন- সাগর প্রমানিক ও মো: উজ্জল হোসাইন উভয়ই ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। একই শিক্ষাবর্ষের শারিরীক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞানের বিভাগের মুদ্দাসিস খান কাফি।
এছাড়া অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ও ইবি শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক নাসিম আহমেদ মাসুম ও ২০২২- ২৩ শিক্ষাবর্ষের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের মিসনো আল আসানওয়ীকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়। ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হলে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ইবির লালন শাহ হলে গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে নবীন শিক্ষার্থীকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মুদাচ্ছির খান কাফী ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ সাগর। এ সময় তাদের সাথে ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন।
এছাড়া তাকে রড দিয়ে আঘাত ও নাকে ক্ষত দেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনার অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী। এছাড়া কাফি ফেনী’র পরশুরাম উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক।
এসআই/
মন্তব্য করুন