গবি প্রতিনিধি: গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) সিনিয়র প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতি পেয়েছেন ১৫ শিক্ষক। পদোন্নতি প্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো: আতিকুর রহমান এবং মো: রাসেল মিয়া। আইন বিভাগের তৌহিদা সরকার। ফার্মেসি বিভাগের মোছা: মাহফুজা খাতুন, মাহমুদুল ইসলাম, মো: আব্দুর রউফ। ইংরেজি বিভাগের আফরোজা সিদ্দিকা। বাংলা বিভাগের আতি-উন নাহার।
আরো পদোন্নতি পেয়েছেন, ফলিত গণিত বিভাগের মালতি মজুমদার। ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডা. রোকেয়া আহমেদ। রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের ড. মো: আলী আজম খান, মাহমুদা বেগম এবং মোহাম্মদ আসিফ চৌধুরী। অর্থনীতি বিভাগের ড. শামিমা আক্তার এবং সমাজ বিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের মাহমুদুল হাসান।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ কর্তৃক স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
সদ্য পদোন্নতি হওয়া সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি ২০১৪ সালে যোগদান করি এবং ২০২০ সালে সিনিয়র লেকচারার হয়েছি। সাড়ে তিন বছর পর আমি সহকারী অধ্যাপক হয়েছি। পদোন্নতির ধাপ ৮টি থেকে কমিয়ে ৪টি করা হয়েছে, যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ। এটি নতুন শিক্ষকদের কর্মজীবনে সময় কমাবে এবং ভালো শিক্ষক নিয়োগে সাহায্য করবে।
শিক্ষদের পদোন্নতি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ এডুকেশন টাইমসকে জানান, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে কিছু মানদণ্ড অতিক্রম করতে হয়। চারটি ধাপে পদোন্নতি দেওয়া হয় প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক। এবার যারা পদন্নোতি পেয়েছেন তাদের প্রত্যেকেই সিনিয়র প্রভাষক হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালন সম্পন্ন করেছেন এবং ৪ টা পাব্লিকেশন আছে তাদের। তবে অনেকেই ৩ বছর দায়িত্ব পালন করছেন কিন্তু পাব্লিকেশনের অভাব আবার কারো পাব্লিকেশন থাকলে মেয়াদ পূর্ণ করেন নাই, তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না।
উপাচার্য ড. মো: আবুল হোসেন বলেন, পদোন্নতি হলো একটি স্বাভাবিক ও নিয়মিত প্রক্রিয়া। ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাঁরা পদোন্নতির যোগ্য ছিলেন, তাঁদেরকে উচ্চতর পদে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হলো, পদোন্নতির ধাপগুলি আগের ৮টি থেকে কমিয়ে বর্তমানে ৪টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি প্রক্রিয়াটিকে আরও সুসংহত ও কার্যকর করেছে।
এসআই/