spot_img

স্বার্থের আঘাতে শিক্ষক আন্দোলন, একাধিক ক্ষতির সম্মুখীন শিক্ষার্থীরা

এসম্পর্কিত আরো পড়ুন

রাবি প্রতিনিধি: সার্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে। এরই অংশ হিসেবে সোমবার (১ জুলাই) থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ অচলাবস্থার কারণে সেশনজটসহ নানাবিধ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন রাবি শিক্ষার্থীরা। তবে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে তা মেকআপ করার কথা জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের পাশাপাশি হল প্রাধ্যক্ষের অফিস, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থী।

- বিজ্ঞাপন -

এ বিষয়ে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাব্বির হোসাইন বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলনে প্রথমত আমাদের একাডেমিক কারিকুলামে ব্যাঘাত ঘটছে। করোনার কারণে সব ডিপার্টমেন্টেই সেশনজট বেধে আছে সেগুলো আরও বৃদ্ধি হতে পারে। এছাড়া অনেক ডিপার্ট্মেন্টের পরীক্ষা চলমান ছিল, তাদের পরীক্ষাও বন্ধ হয়ে আছে। গরমের ছুটি ও ইদের ছুটি একসাথে হওয়ায় আমরা অনেক ছুটি পেয়েছি, এখন আবার ক্লাস পরীক্ষা অফ থাকায় শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন পড়ালেখার বাইরে।

আরেক শিক্ষার্থী নুরুল্লাহ আলম নুর বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলন এবং কর্মবিরতির ফলে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। ক্লাস ও পরীক্ষার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে, যা সেশনজটের সম্ভাবনাকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। গ্রন্থাগার বন্ধ থাকায় পড়াশোনা ও গবেষণা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। পাশাপাশি অনলাইন এবং সন্ধ্যাকালীন কোর্স বন্ধ থাকায় কর্মজীবী শিক্ষার্থীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আমাদের উচ্চশিক্ষা এবং ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ব্যাহত হবে এবং মানসিক চাপ বাড়বে। তাই শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরি।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সেশনজটের মতো কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করছি। আর যদি হয়ও তাহলে আমরা তা এক্সট্রা ক্লাস নেওয়ার মাধ্যমে মেকআপ করার চেষ্টা করব। ছুটির দিনে আমরা ক্লাস নিয়ে এটা করতে পারি। করোনা পার করে যেমন আমরা সবকিছু গুছিয়ে নিতে পেরেছি এবারও পারব।

তিনি আরো বলেন, এ আন্দোলন কিন্তু আমরা শিক্ষকদের জন্য করছি না; আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্যই করছি।বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচানোর জন্য করছি। গত তিন মাস ধরে বিভিন্ন প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি করে আসছি; তাতে কোনো কাজ হয়নি। কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করেননি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এ আন্দোলনে নেমেছি।

এসআই/

spot_img
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ প্রকাশিত

spot_img