শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সামবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শ্বিবিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩ জুলাই) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো গোল চত্বরে এসে সমবেশে মিলিত হয়।
কোটা বৈষম্যবিরোধী এই বিক্ষোভ মিছিলে বিভন্ন ধরণের স্লোগানে মুখরিত হয় শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস। ‘কোটা না মেধা?’ ‘মেধা মেধা, হাইকোর্টের রায় মানি না মানব না’, ‘কোটা বাতিল কর, বাতিল কর’, ‘ছাত্রসমাজ গড়বে দেশ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ’ ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এমন নানা রকম স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদ শিকদার বলেন, ২০১৮ সালে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা চাকরিতে অন্যায্য ও অযোক্তিক কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। তার প্রেক্ষিতে ঐ বছরের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক কোটা চালু করেন। কিন্তু অত্যন্ত হতাশার বিষয় গত ৫ মে মহামান্য হাইকোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা পূণর্বহালের রায় দিয়েছেন। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে প্রহসন মনে করি। আমরা শাবি শিক্ষার্থীরা সারা দেশের শিক্ষার্থীদের চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ফয়সাল আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই দেশে এই বৈষম্যমূলক কোটা অযোক্তিক। মুক্তিযুদ্ধের তৃতীয় প্রজন্মকে কোটার সুবিধা দিয়ে স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধাদের লাঞ্চিত করা হয়। আমাদের দাবি ২০১৮ সালের পরিপত্র পূণর্বহাল করে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল করা হোক।
এসআই/
মন্তব্য করুন