কুবি প্রতিনিধি:
কোটাবিরোধী আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আহত হওয়ার ঘটনায় প্রক্টরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রক্টর কার্যালয় তালা দিয়েছিল
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ গ্রুপের কর্মীরা। সেই তালা ভেঙেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। রবিবার (১৪ জুলাই) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের উপস্থিতিতে এই তালা ভাঙা হয়।
তালা ভাঙার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে যে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে তাদের কেউই প্রক্টর অফিসে তালা দেয়নি। ভিসি স্যারের উপর যারা বোতল ছুঁড়ে দিয়েছে তারা কেউই কোটা সংস্কারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ছিল না। তৃতীয় একটা পক্ষ এই কাজ করেছে। তারা আজকেও প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলিয়েছে।’
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশি হামলা থামাতে কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে মন্তব্য করছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটা পক্ষ দাবি করছে পুলিশি হামলার দিনে আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা নীরব ছিলাম। সেদিনের ভিডিও ফুটেজে দেখবেন, শুরুতে আমি এবং অমিত স্যার পুলিশকে হাত জোর করে বলেছিলাম যাতে তারা আক্রমণাত্মক না হয়। তারা আমাদের অনুরোধ শুনেনি। আমরা ছাত্রদের মাঝে ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলাম। প্রক্টরিয়াল বডির আরেক সদস্য আবু ওবায়দা রাহিদ স্যারও পুলিশকে বারবার অনুরোধ করেছিল যাতে পুলিশ সামনে এগিয়ে না আসে
এএকে /
মন্তব্য করুন