বেরোবি প্রতিনিধি: সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে রবিবার মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ জনসহ ২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।এতে ছাত্রলীগের ৪ জন হলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব,সহ- সভাপতি মাসুদ,সাকিলসহ মোট চার জন তবে সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
রবিবার (১৪ জুলাই) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দুটি আবাসিক হল, ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সর্দার পাড়া, পার্ক মোড়, চকবাজার ও লালবাগ থেকে আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সর্দারপাড়া থেকে বের করা মিছিলটি পার্ক মোড়, চকবাজার ঘুরে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে ঢাকা-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে মিছিল করেন। পরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি ও রাস্তা অবরোধ করেন।
মিছিলের একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেখে ভুয়া,ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এ মিছিল ও জমায়েতে একত্রিত হয়। এ সময়ে ছাত্রলীগ হল থেকে রামদা,রডসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিলেও অনেকটা অসহায় ও নিরব ভূমিকা পালন করে।
এ ঘটনার শেষে (১৫জুলাই) রাত ১২ টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের তালা ভেঙ্গে তারাও আন্দোলনে যুক্ত হোন এবং মডার্ণ মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেয়।
সেখানে ত্রিশ মিনিট অবস্থান করার পর আবারও ক্যাম্পাসে ফেরত আসেন।মেয়েদেরকে হলের তুলে দিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এগিয়ে যায়।ফেতর আসার সময় লাইব্রেরীর রাস্তায় অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের মুখোমুখি হলে সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে থাকে এতে ছাত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ইট পাটকেলসহ লাঠি ছুড়ে মারতে দেখা যায়।এতে দুই পক্ষের মোট ৬ জন আহত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সমন্বয়ক আহসান হাবিব বলেন,আমরা শান্তিপূর্নভাবে পদযাত্রা শেষ করে মেয়েদের হলে দিয়ে আসি।আসার পথে ক্যাফের সামনে রাস্তায় ছাত্রলীগ তাদের উপর আঘাত করে।এতে তাদের একজনের মাথা ফেটে যায় এবং একজন গুরুতর আহত হন।
অন্যতম সমন্বয়ক সোহাগ জানায়,দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী কিভাবে আমাদের সবাইকে রাজাকার বলতে পারেন।তিনি আমাদের প্রমাণ করে দেখাক আমরা রাজাকার। তার সংবাদ সম্মেলন করে মাফ চাইতে হবে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সভাপতি পোমেল বড়ুয়া জানায়,আমরামরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে বাধা দেইনি,আন্দোলনে হলের অনেক শিক্ষার্থী গিয়েছে তাদেরকে আমরা বাঁধা প্রদান করিনি।তবে এই আন্দোলনে কারমাইকেল কলেজসহ বহিরাগত অনেকে প্রবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রীছাউনি ভেঙে ফেলে এতে আমরা প্রতিহত করতে গেলে আমাদের কর্মীদের উপর আঘাত করে এবং ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে এতে ছাত্রলীগের কর্মীরা গুরুতর আহত হন।
তিনি আরও বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অবস্থানকালে কিভাবে হাজার হাজার বহিরাগতরা অবস্থান করে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ভাংচুর করে।তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
এএকে /