রাজিব রায়হান, জাবি: গত ১৫ জুলাই দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রলীগ এবং তাদের ভাড়া করা বহিরাগত গুন্ডা বাহিনী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওপর চড়াও হন।
এর আগে, ঐ দিন ছাত্রলীগের পূর্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভোরেই হল ছাড়েন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বলে জানান শিক্ষার্থীরা। হল থেকে বের হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরও হলে প্রবেশ করতে পারেনি জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ হাবিবুর রহমান লিটনসহ তার অনুসারীরা।
আন্দোলনকারী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সন্ধ্যা সাতটায় আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী বটতলা এলাকায় দেশি অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেন। এ সময় নারী শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। এর বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনে আমরা অবস্থান নেয়। কিন্তু উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও তাদের ভাড়া করা গুণ্ডাবাহিনীকে আমাদের উপর লেলিয়ে দেয়া হয়। রামদা, বন্দুক, পেট্রোলবোম ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। একের পর এক আমাদের ওপর কাচের বোতল ছুড়ে মারা হয়। তার কিছুক্ষণ পর তাদের সাথে যুক্ত হয় পুলিশ বাহিনী। তারা আমাদের ওপর টিয়ারশেল ও ছড়া গুলি করে।
এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী বটতলা এলাকায় দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। নারী শিক্ষার্থীদেরও তারা ছাড়েনি তারা। তাদের হেনস্থা করে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। ছাত্রলীগ হলে অবস্থান করার অধিকার হারিয়েছে। ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীকে আমরা হলে উঠতে দিবো না।
এবিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে ছাত্রলীগের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও একটা মহল চায় ছাত্রলীগের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হক। কিন্তু আমরা সেটা চাই না। এজন্য আমরা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছি। তবে আমাদের কর্মীরা হলের অবস্থান করছে।
এসআই/
মন্তব্য করুন