spot_img

ভারতে মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ

এসম্পর্কিত আরো পড়ুন

এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: ভারতের জনবহুল ও বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশে ইসলামিক স্কুল বা মাদ্রাসাকে বন্ধ ঘোষণা করেছে আদালত। খবর সংস্থা রয়টার্স’র

২০০৪ সালে প্রণীত মাদ্রাসা শিক্ষার আইনকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট। দেওয়া রায়ে আদালত বলেন, আইনটি ভারতীয় সাংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতির লঙ্ঘন। শিক্ষার্থীদের প্রচলিত সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে হবে।

- বিজ্ঞাপন -

আইনজীবী অংশুমান সিং রাঠোরের আপিলের ভিত্তিতে বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী ও বিবেক চৌধুরী শুক্রবার (২২ মার্চ) এই রায় দেন। রায়ে আদালত বলেছে, ‘৬ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুরা যাতে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি থেকে বঞ্চিত না হয়, তাও নিশ্চিত করবে রাজ্য সরকার।’

রাজ্যে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ বলেন, এলাহাবাদ হাই কোর্টের এ রায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ২৭ লাখ শিক্ষার্থী, ১০ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ২৫ হাজার মাদ্রাসা। এ রাজ্যের মোট ২৪ কোটি মানুষের মধ্যে এক পঞ্চমাংশ হলেন মুসলিম।

বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী এবং বিবেক চৌধুরী তাদের লিখিত রায়ে বলেছেন, স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে যাতে ভর্তি থেকে বঞ্চিত না হয় ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুরা তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে।

এ বছর এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে ভারতে। এতে নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি বিজয়ী হতে পারেন বলে মনে করা হয়। কিন্তু ইসলামবিরোধী ঘৃণাপ্রসূত বক্তব্য এবং নজরদারিকে উৎসাহিত করার জন্য বিজেপির কিছু সদস্য এবং সমমনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আসছেন মুসলিমরা ও অধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো। তবে ভারতে ধর্মীয় বৈষম্য থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন মোদি।

বিজেপি বলেছে, ঐতিহাসিক যেসব ভুল ছিল তা পরিবর্তন করছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১৯৯২ সালে ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত বাবরি মসজিদের স্থানে হিন্দুদের জন্য একটি মন্দির উদ্বোধন করেছেন।

উত্তর প্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠি বলেছেন, রাজ্য সরকার মাদ্রাসাবিরোধী নয়। মুসলিম শিক্ষার্থীদের শিক্ষার বিষয়ে সচেতন রাজ্য। তিনি বলেন, আমরা মাদ্রাসার বিরোধী নই। আমরা বৈষম্যমূলক শিক্ষার বিরোধী। আমরা অবৈধ অর্থায়নের বিরোধী। আদালতের নির্দেশের পর সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এমন রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুধাংশু চৌহান। তিনি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা এবং ধর্মীয় নির্দেশনা কোনো স্কুলের শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা যাবে না। ধর্মীয় শিক্ষার অনুমতি দিয়ে বিধিবদ্ধ শিক্ষা বোর্ড তৈরির কোনো ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই।

মাদ্রাসা কর্মকর্তা জাভেদ বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে তিনি নিজের দল এবং তার সম্প্রদায়ের মধ্যে অগ্রাধিকারকে খুঁজে নেন। শুক্রবারের রায়ের পর থেকে মুসলিমদের দিক থেকে তার কাছে অসংখ্য কল আসছে। তার ভাষায়, আমাকে প্রচুর ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে চয়। একজন মুসলিম হওয়ায় দল আমাকে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে পাঠায় তাদেরকে আশ্বস্ত করতে এবং তাদের পক্ষে ভোট চাইতে। কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠান বা কর্মসুচিতে আমি ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে চলি। কারণ, আমি এতটাই ভয় পাচ্ছি।

এসআই/

spot_img
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ প্রকাশিত

spot_img