মির্জা নাদিম, টঙ্গী প্রতিনিধি: তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গী’র এলামনাই এসোসিয়েশনের (১৪ মার্চ) ইফতার মাহফিলে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে আমন্ত্রণ জানানোর খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকে এই আমন্ত্রণকে ‘আদর্শবিরোধী ও লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
অনেকের মতে, মাহফুজ আলম ইসলামী মূল্যবোধ ও আলেম-ওলামাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। ফলে তাকে এমন একটি সম্মানজনক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত তা’মীরুল মিল্লাতের আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তা’মীরুল মিল্লাতের সাবেক শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, “যিনি আলেম-ওলামাদের নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ মন্তব্য করেছেন, তাকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য।”
আরেক সাবেক শিক্ষার্থী তাওহীদ ইবনুল বদর বলেন, “শহীদ শাকিল, ওসমান, নাসিরের রক্তস্নাত মিল্লাত ক্যাম্পাসে ইসলামী মূল্যবোধবিরোধী অবস্থান নেওয়া একজন ব্যক্তিকে ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রণ জানানো দুঃখজনক।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তা’মীরুল মিল্লাত এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা দল-মত নির্বিশেষে তা’মীরুল মিল্লাতের সাবেক শিক্ষার্থী সবাইকে আমন্ত্রণ জানানোর নীতিতে বিশ্বাস করি। মাহফুজ আলম যেহেতু সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন, সে বিবেচনায় তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা পুনর্বিবেচনা করবো।”
এ বিষয়ে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. হিফজুর রহমান বলেন, “এটি এলামনাই এসোসিয়েশনের নিজস্ব আয়োজন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই।”
এদিকে, মাহফুজ আলম অতীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে ‘উগ্রবাদী মবস্টারদের উত্থানের জন্য দায়ী’ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিলেন, যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এছাড়া, মাজার ও ভিন্নমতের প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের বিরোধিতা করে তার আরেকটি স্ট্যাটাসও আলেম সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।
এলামনাই এসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইলেও আয়োজকরা এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো পরিবর্তনের ঘোষণা দেননি। তবে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার কারণে তারা দ্রুত এ বিষয়ে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন।
এএকে/