এডুকেশন টাইমস
২১ আগস্ট ২০২৪, ৪:২৮ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

ভারত থেকে হু হু করে আসছে পানি, কুমিল্লায় বন্যার শঙ্কা

এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: টানা বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে কুমিল্লার গোমতী নদীতে পানি বেড়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় চার হাজার হেক্টর এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। গতকাল রাত থেকে বৃষ্টি ও ঢলের পানি ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। আজ সকাল পর্যন্ত নদীটির পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করলেও দ্রুতই দুকূল ছাপিয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

গোমতীপাড়ের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গত ১০ বছরের মধ্যে নদীটিতে এত পানি দেখেননি তাঁরা। পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।

কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুর রহমান জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলাটিতে ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরও বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ। তিনি জানান, কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করছেন।

আজ সকালে কুমিল্লা গোমতী নদীর আদর্শ সদর উপজেলার বানাশুয়া, পালপাড়া, রত্নবতী, টিক্কারচর, জালুয়াপাড়া, বুড়িচং উপজেলার ভান্তি, শিমাইলখাড়া, পূর্বহুড়া, নানুয়ার বাজার, মিথলাপুর, গোবিন্দপুর, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গোমতীর তীর ঘেঁষে আছড়ে পড়ছে ঢেউ। চরাঞ্চলের কয়েক হাজার একর সবজিখেত পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে বাঁধে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছেন।

মালাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন আজাদ বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে চরের ভেতর বসবাস করেন। গত ১০ বছর গোমতী নদীতে এত পানি দেখেননি। তাঁর বৃদ্ধ মা, স্ত্রী, সন্তান আর দুটি গাভি নিয়ে গোমতীর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে নিজের ১২০ শতক জমির মুলা পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বুড়িচং উপজেলার ভান্তি এলাকার আবুল কালাম। ফসল তলিয়েছে কামারখাড়া এলাকার নোয়াব মিয়ারও। তিনি বলেন, শিম ও চালকুমড়ার চাষ করেছিলেন। শিমগাছ ছোট ছিল। মাচায় ঝুলছিল কচি চালকুমড়া। সব এখন পানির নিচে।

টিক্কারচর এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধে শতাধিক পরিবারকে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। চরের ভেতর কিছু কিছু জায়গায় পানি গলাসমান হয়ে গেছে। সেখানকার বাসিন্দারা বলেন, হুট করে পানি বাড়ায় ঘর থেকে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই বের করতে পারেননি।

টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে গোমতী ছাড়াও কাকড়ী, পাগুলি ও সালদা নদী দিয়ে ভারত থেকে হু হু করে পানি আসা অব্যাহত রয়েছে। এতে কুমিল্লায় বন্যার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লায় গোমতীর চরে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইয়ুব মাহমুদ জানান, সেখানে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি সরে না যাওয়া পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব নয়। তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি সভা ডেকেছেন।

এসএস/

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাবিতে মাদারীপুর জেলা ছাত্র সংসদের নেতৃত্বে শাওন-মেজবাহ

‘প্রত্যেকটি শহীদ ও তাদের পরিবারের নিকট আমরা দায়বদ্ধ’: আব্দুল হান্নান মাসুদ

ঢাকা কলেজ, ইডেন, তিতুমীরসহ ২১ কলেজে নতুন অধ্যক্ষ

জাবিতে হামলার ঘটনায় শহীদ সালাম-বরকত হল ছাত্রলীগের যে ভূমিকা ছিল

সীমান্তে বিজিবিসহ-সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের 

জাবিতে সকল প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন

এইচএসসি পাসেই বিজিবিতে নিয়োগ

তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ

২৫ জেলায় নতুন ডিসি

জবি শিক্ষার্থী সাজিদকে গুলি করে হত্যা, ৭৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের

১০

গবিতে জিবিসিডিসি’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

১১

সুপারশপে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ

১২

পলিটিক্যাল পাওয়ার দেখিয়ে রুম দখল একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে: রাবি উপাচার্য

১৩

পুলিশের ৩১ কর্মকর্তাকে বদলি

১৪

কুবিতে আয়োজিত হয়েছে ‘কাওয়ালি সন্ধ্যা’

১৫

সেভেন সিস্টার্সের ৬০ কিলোমিটার দখল করে ফেলেছে চীন?

১৬

দুর্নীতির অভিযোগে রাবি শিক্ষক সুজনকে অপসারণের দাবি শিক্ষার্থীদের

১৭

এক কমেন্টে শিক্ষা জীবন শেষ নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর

১৮

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সংগঠনের মতবিনিময় সভা

১৯

ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চাই না: চবিতে হাসনাত আবদুল্লাহ

২০