এডুকেশন টাইমস
১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১:৪৮ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

সংবিধান সংস্কারে শায়খ আহমাদুল্লাহর প্রস্তাবনা

এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: সংবিধান সংশোধন কমিশনের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। দেশের বাইরে অবস্থান করায় এতে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তবে শায়খ আহমাদুল্লাহর পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবনাসহ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়ে নিজের প্রত্যাশা ও প্রস্তাবানার কথা জানিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।

পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ ধারণকারী একটি সংবিধান আমাদের প্রত্যাশা। যেখানে আমাদের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রতিফলিত হবে।

তিনি লেখেন, ইতোমধ্যে সংবিধান সংশোধন কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংবিধান সংশোধন বিষয়ে সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য এক আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছি। দেশের বাইরে অবস্থান করায় উক্ত সভায় উপস্থিত হতে না পারলেও লিখিত প্রস্তাবনাসহ আমার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন ইনশাআল্লাহ। আশা করি, জাতীয় জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট মহল সুবিবেচনা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দেবেন। কমিশনের সদস্যরা ইতোমধ্যে অংশীজনদের মতামত ও প্রস্তাব নেওয়া শুরু করেছেন। আমরা তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

পোস্টের প্রথম কমেন্টে তিনি লিখেছেন, সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় তারা বিবেচনা করবেন বলে আশা করছি।

১. সংবিধানে এ দেশের গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধবোধ প্রতিফলিত হতে হবে। সংবিধানে এ রকম কোনো ধারা-উপধারা সংযোজন করা যাবে না এবং থাকলে অপসারণ করতে হবে, যা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থি।

২. সংবিধানের শুরুতে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হবে প্রজাতন্ত্রের সকল কাজের ভিত্তি’ এই বাক্য পুনঃসংযোজন করতে হবে, যা বিগত সরকার সংবিধান থেকে অপসারণ করেছে।

৩. সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের বিলোপ করতে হবে। কারণ এটি এ দেশের মানুষের চিরায়তের মূল্যবোধের বিরোধী।

৪. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

আশা করি, সংশ্লিষ্ট মহল সুবিবেচনার পরিচয় দেবেন।

এসএস/

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সঙ্কটে ৯ মাসে বন্ধ দুইশ কারখানা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের নেতৃত্বে রায়হান-রাশেদুল

কোনো পুলিশ সদস্যকে অযথা ভিকটিমাইজ করা হবে না: আইজিপি

গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু

৮ মাসে হাফেজ হলেন ৮ বছরের ওমর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শাটল বাস সার্ভিস চালু, চলবে ৩ রুটে

পাবিপ্রবিতে জুলাই বিপ্লবের শহীদের নামে ফুটবল টুর্নামেন্ট

চিকিৎসা খাতে রাজনীতিকরণ রুখে দেয়ার আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতদের নামে স্মরণসভা করার নির্দেশ

হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের প্রশ্নই আসে না: সারজিস

১০

ইবি মফিজ লেকের নাম হবে ‘মীর মুগ্ধ সরোবর’ – উপাচার্য

১১

নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবে মিত্র যুক্তরাজ্য

১২

জবির মার্কেটিং অ্যালামনাইয়ের সভাপতি সৈকত , সম্পাদক রাজ্জাক

১৩

১৮ বছর পর প্রকাশ্যে নবীনদের বরণ করল হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবির

১৪

ওয়ান ব্যাংকে নিয়োগ, প্রবেশনে বেতন ৫৫,০০০ টাকা

১৫

ছাত্রশিবির শতভাগ মাদকমুক্ত: শিবির সেক্রেটারি

১৬

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ-আহতদের বিষয়ে মাউশির নতুন নির্দেশনা

১৭

মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে যা জানা গেল

১৮

ববিতে মানবধিকার সংগঠন ‘সোচ্চার স্টুডেন্টস’ নেটওয়ার্কের যাত্রা শুরু

১৯

আবারো মহাসমাবেশের ডাক চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশীদের

২০