এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: দেশে সাম্প্রতিক বন্যা এবং পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় জনগণ কষ্টের সম্মুখীন হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকারের বহুমুখী উদ্যোগ সম্পর্কে বর্ণনা করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
ডিম ও চালের সরবরাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ:
বাজারে ডিমের দাম কমানোর লক্ষ্যে সাড়ে নয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং এই খাতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। ডিমের সরাসরি উৎপাদনকারীদের বাজারে পণ্য সরবরাহে সহায়তার মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানোর চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে, বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চালের উৎপাদন সামাল দিতে শুল্ক ছাড়ে চাল আমদানি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সহায়তা:
টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭ লাখ ফ্যামিলি কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকার কৃষিপণ্য স্বল্প মূল্যে বিক্রি করছে।
মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় নীতিগত সিদ্ধান্ত:
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শস্য আমদানির জন্য এলসি সীমা অপসারণ করা হয়েছে এবং সরবরাহ চেইন সংক্ষিপ্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উচ্চ সুদের হার নির্ধারণসহ অন্যান্য নীতিগত পদক্ষেপের মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে।
জ্বালানি ও শিল্প খাতের সহায়তা:
সামান্য হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হয়েছে। শিল্প কারখানাগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে, যাতে স্থানীয় উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং রপ্তানি কার্যক্রম চালু থাকে। নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম গণশুনানি ছাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রমজানকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি:
আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা আশা করেন, এসব উদ্যোগ মধ্যমেয়াদে বাজার স্থিতিশীল করবে এবং দ্রব্যমূল্যের ওপর জনগণের চাপ কমাবে। একই সঙ্গে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং নেপাল থেকে পানিবিদ্যুৎ আমদানির মতো পদক্ষেপগুলোও বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
এসএস/
মন্তব্য করুন