এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: ‘খুনি’ হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের প্রশ্নে কারও সাফাই গাওয়ার প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা এটা (পুনর্বাসন) করতে দেব না।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগের শহীদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘হাসিনা সারাজীবন নিজের পরিবারের কথা বলে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছিলেন। দুই হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যার সময় তার বুক কাঁপেনি। আজ যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমাদের নেই।’
তিনি বলেন, ‘৫০ বছর আগের ১৯৭৫ সালের গল্প বলে তিনি ক্ষমতা সুসংহত করেছেন। কিন্তু দুই হাজার মানুষকে খুন করার জবাব তিনি কীভাবে দেবেন? যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তাদের বাংলাদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।’
‘আমার অনেক বোন আছেন, যারা বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামী হারিয়েছেন। নবজাতকরা বাবার মুখ দেখেনি। শহীদ বাবার সন্তানরা আজ রক্তাক্ত ভিডিও দেখে বড় হচ্ছে। এ বয়সে তাদের এসব দেখা উচিত নয়। এই প্রশ্নের উত্তর খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের দিতে হবে,’ বলেন সারজিস।
তিনি বলেন, ‘কষ্ট ও ব্যথার গল্পগুলো সবাই বলতে পারে না। ক্ষত এত গভীর যে তা কোনোদিনও পূরণ করা সম্ভব নয়। অর্থ বা সম্মানী ভাতা দিয়ে সাহায্য করা সম্ভব হলেও, হারানো মানুষকে ফেরানো যাবে না।’
বরিশালের ৭৯ শহীদ পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। ‘এটা কেবল শুরু। শহীদ পরিবারের যৌক্তিক চাহিদা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো,’ বলেন সারজিস।
‘শহীদ পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া, পুনর্বাসন, কিংবা সম্মানীর ব্যবস্থা করেও পাশে থাকবেন বলে জানান তিনি।
ইতিমধ্যে তিনটি বিভাগে কাজ শেষ হয়েছে, বরিশাল চতুর্থ গন্তব্য উল্লেখ করে সারজিস বলেন, ‘আমরা নতুন কিছু নিয়ে এগোচ্ছি, কিন্তু খুনিদের বিচার ছাড়া এই ক্ষত মেটানো সম্ভব নয়। ‘খুনি’ হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের পক্ষে কথা বলা মানে ক্ষমতালোভী হওয়ার আরেক উদাহরণ। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।
এ সময় বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এসএস/
মন্তব্য করুন