এডুকেশন টাইমস
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ৪:৪২ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষার্থী না থাকায় বন্ধ হচ্ছে তিনশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: ‘দুর্বল’ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী রয়েছে এমন ৩০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। বিগত ১০ বছরের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

এর আগে ২০২২ সালে তৎকালীন সচিব আমিনুল ইসলাম খান এসব স্কুলের তালিকা করার নির্দেশ দেন। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সেসব স্কুলের তালিকা শুরু করে। সর্বশেষ তথ্য মতে, দেশের ৫৬টি জেলায় ৯৯৪ স্কুলে ৫০ জন শিক্ষার্থী নেই। সেই তালিকা ধরে এখন এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩০০ স্কুলকে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে।

এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আগে এসব স্কুলের গত ১০ বছরের শিক্ষার্থীর ধারাবাহিকতা দেখা হবে। একত্রিত করার জন্য প্রস্তাবিত স্কুলের নাম, শিক্ষার্থী সংখ্যা, জমির পরিমাণ, যে স্কুলের সঙ্গে একত্রিত করা হবে তার নাম, বর্তমান বিদ্যালয় থেকে একত্রিত করার জন্য প্রস্তাবিত স্কুলের দূরত্ব ও প্রস্তাবিত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা উল্লেখের বিষয়গুলো আমলে নেওয়া হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানান, দেশের ৫৬ জেলায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৫০ জন শিক্ষার্থীও নেই এমন ৯৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব স্কুলের মধ্যে প্রায় ৩০০ স্কুলের গত ১০ বছরের শিক্ষার্থীর ধারাবাহিতা যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে যে, প্রতি বছর সেখানে ৫০ এর কম শিক্ষার্থী ছিল। এ রকম বেহাল স্কুলগুলো বন্ধ করে পাশের স্কুলের সঙ্গে একত্রিত বা একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বরিশাল শহরের একটি স্কুলের উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, সেই স্কুলে গত দশ বছরে ৫-৭ জন শিক্ষার্থী ছিল। এসব স্কুল একীভূত করা হবে। অন্যদিকে, দেশের ৫০০ এর বেশি স্কুলে ১৫০০ বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। সেখানে ভর্তির জন্য আরও ৫০০-৭০০ শিক্ষার্থী অপেক্ষায় রয়েছে। এসব স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অনেক স্কুল আছে যেখানে গড়ে ৩-৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যেটা যুগের পর যুগ এভাবে চলছে। এসব স্কুলের ক্ষেত্রে একীভূত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৫৬টি জেলার ৯৪৪ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী নেই। সেই তালিকায় জাতীয়করণ করা স্কুলও রয়েছে। এ ধরনের জাতীয়করণ করা স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়েও ভাবছে ডিপিই।

২০১৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে ২৬ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত রেজিস্ট্রার্ড, আন রেজিস্ট্রার্ড ও কমিউনিটি বিদ্যালয় সরকারিকরণ করা হয়। এদের মধ্যে প্রায় ২১ হাজার শিক্ষক ছিলেন যোগ্যতাবিহীন। বার বার সময় দেওয়ার পরও তারা যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। আবার অনেক স্কুলে ছিল নামমাত্র শিক্ষার্থী। গোঁজামিল তথ্য দিয়ে স্কুলগুলো চালাচ্ছেন কিছু শিক্ষক। তারা বেতনভাতাও পাচ্ছেন।

এসআই/

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশি ৭৯ জেলে-নাবিককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড

চবি শিক্ষার্থী ফরহাদের মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের বাধা  

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু আজ

শেখ হাসিনা ভারতের বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন: হাসনাত আবদুল্লাহ

ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিচ্ছে ভিভো

৬ষ্ঠ বারের মতো আন্তর্জাতিক সম্মেলন করতে যাচ্ছে রুয়েটের যন্ত্রকৌশল অনুষদ

রাবিতে স্থাপন করা হলো দেশের প্রথম ‘পোষ্য কোটার সমাধি’

নিরাপত্তাকর্মীদের মাঝে ইবি ছাত্রশিবিরের শীতবস্ত্র বিতরণ

সিকৃবিতে প্রথমদিনের ভর্তি কার্যক্রম শেষে আসন ফাঁকা ২২৪ টি

জবি ছাত্রদলের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মী ও অসহায়দের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ

১০

জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের স্মরণে নোবিপ্রবিতে স্মরণসভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধা

১১

ঢাবির মুজিব হলের ক্যান্সারে আক্রান্ত ‘মনির ভাই’ এর পাশে শিবির

১২

পোষ্য কোটার কবর দিলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

১৩

ভন্ড সাংবাদিকদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি সারজিসের

১৪

কবি নজরুল সরকারি কলেজে ছাত্রশিবিরের প্রকাশ্য যাত্রা: শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন উদ্যোগ

১৫

ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীদের হেনস্তার অভিযোগ ঢাকা কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে

১৬

জুলাইয়ের চেতনায় সেজেছে ইবির নবীন বরণ উৎসব

১৭

কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

১৮

মাভাবিপ্রবি গাজীপুর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

১৯

শাবিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঋণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা

২০