এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: কোটা সংস্কারের আন্দোলনে পুলিশের রাবার বুলেটের আঘাতে শহীদ হওয়া নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূঁইয়া (১৫) কে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তবে তাহমিদের পরিবার জানিয়েছে, তাদের সন্তান কোনোভাবেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না, ছাত্রদলের দাবি অসত্য ।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নরসিংদী জেলার প্রথম শহীদ হন তাহমিদ ভুঁইয়া। তাকে ছাত্রদলের কর্মী দাবি করলে তাহমিদের বাবা তা অস্বীকার করেন। তাহমিদের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে তাহমিদ কিংবা আমার পরিবারের কেউই কোনো রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত নই। তাহমিদ নিজেও আন্দোলনে যাওয়ার কয়েকদিন আগে একটি খাতায় লিখে গেছে, সে কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। সেই খাতা এখনো বাড়িতে আছে।
জুলাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ১৪২ জন নেতাকর্মীর তালিকা প্রকাশ করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত তালিকায় ১০৫ নম্বরে নরসিংদীর শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূঁইয়ার তথ্য রয়েছে। সেখানে ‘ছাত্রদলের সদস্য’ এবং পারিবারিকভাবে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে এই শিক্ষার্থীকে।
শহীদ তাহমিদের বাড়ি সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে। তিনি নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমসের শিক্ষার্থী ছিলেন। পল্লিচিকিৎসক বাবা ও গৃহিণী মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তাহমিদ। ১৩ ও ৩ বছর বয়সী দুটি বোন রয়েছে তাহমিদের।
জানা গেছে, শহীদ তাহিমদ ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। পড়াশোনা ও ক্রিকেট ছাড়া অন্য কিছুর সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত ছিলেন না। যার ফলে ছাত্রদলের তালিকায় তার নাম দেখে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তাহমিদ কখনো রাজনীতি করতেন না। এছাড়াও রাজনীতি করা ও বোঝার মতো বয়সও হয়নি তার।
/ইএইচ