spot_img

২০২৪ সালে দেশে ভুল তথ্য ছড়ানোর রেকর্ড: রিউমর স্ক্যানার

এসম্পর্কিত আরো পড়ুন

এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: ২০২৪ সালে দেশে রেকর্ড ২ হাজার ৯১৯টি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার। বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুরুটা হয়েছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে। এরপর সময়ের সাথে নানা ইস্যু যেমন ছিল, ছিল নিয়মিত অপতথ্যের প্রবাহও। এরপর এলো ঐতিহাসিক দুই মাস জুলাই-আগস্ট। কোটা আন্দোলনের পথ ধরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলের সমাপ্তির পর রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ নিয়ে একের পর এক সাম্প্রদায়িক প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো হয়। এমন নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে ২০২৪ বিদায় নিল। বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার গেল বছর এমন সব ঘটনায় ভুল আর অপতথ্যের প্রবাহ নিয়ে নিরলস কাজ করেছে, শনাক্ত করেছে রেকর্ড ২৯১৯টি ভুল তথ্য। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে শনাক্ত হয়েছিল ১৯১৫টি ভুল তথ্য। এক বছরের ব্যবধানে রিউমর স্ক্যানার প্রায় ৫২ শতাংশ হারে ভুল তথ্য বৃদ্ধি পেতে দেখেছে।

- বিজ্ঞাপন -

ভুয়া তথ্য সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে ইউটিউব, ফেসবুক ও এক্সে জানিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত প্লাটফর্ম ফেসবুক। মেটার অধীনে থাকা এই মাধ্যমটিতে ২০২৪ সালে ২৩৩০টি ভুল তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে৷ এই হিসেবে প্রতিদিন কমপক্ষে গড়ে ছয়টির বেশি ভুল তথ্য প্রচারিত হয়েছে এই প্লাটফর্মে। ফেসবুকের পর একক প্লাটফর্ম হিসেবে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে ইউটিউবে (৫৬৫টি)। পিছিয়ে নেই শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকও। ছয় মাসে এখানে ভুল তথ্য ছড়িয়েছে ৫০৯টি৷ গেল বছর এক্সে (সাবেক টুইটার) উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে বাংলাদেশকে নিয়ে।

রিউমর স্ক্যানার এই প্লাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া এমন ২০১টি অপতথ্য শনাক্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর বাইরে অন্যান্য প্লাটফর্মগুলো বাংলাদেশে তুলনামূলক কম জনপ্রিয় হওয়ায় সেগুলোতে ভুল তথ্য প্রচারের হারও বেশ কম লক্ষ্য করা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ছাড়াও গণমাধ্যমও ভুল তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। গত বছর দেশের গণমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত প্রতিবেদনে ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে ১৫১টি৷

ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে রিউমর স্ক্যানারে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এই সময়ে পুরোপুরি মিথ্যা বা ভুয়া ঘটনা সম্বলিত ভুল তথ্য শনাক্ত হয়েছে ২০২৮টি। এছাড়া, বিভ্রান্তিকর রেটিং দেওয়া হয়েছে ৫৩৩টি। বিকৃত রেটিং পেয়েছে ৩০৮টি, অধিকাংশই মিথ্যা এমন রেটিং পেয়েছে তিনটি। এছাড়া, সার্কাজম বা কৌতুক হিসেবে হাস্যরসাত্মক ঘটনাকে বাস্তব দাবির প্রেক্ষিতে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক করা হয়েছে ৩১টি। যাচাইয়ের পর অর্ধেক সত্যতা পাওয়া গেছে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দুইটি।

এসএস/

spot_img
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ প্রকাশিত

spot_img