spot_img

নরসিংদীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ২ শিক্ষার্থী, আহত ১৫০

এসম্পর্কিত আরো পড়ুন

নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে এন কে এম হাই স্কুল হোমসের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূইয়া সহ ২ জন নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশ ও কোটা আন্দোলনকারী সহ কমপক্ষে দেড় শতাধিক আহত হয়েছে। মুমুর্ষ অবস্থায় বেশ

- বিজ্ঞাপন -

কয়েকজনকে ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আশঙ্কা জনক অবস্থায় আশিক নামে এক জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বিকলে ৪টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ ও গোলালাগুলি চলে প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী।

এসময় মারামারি-গোলাগুলির ছবি ও ভিডিও ধারন করার সময় আন্দোলনকারীরা নরসিংদী সাংবাদিক ইউনিয়নে প্রবেশ করে দায়িত্বরত সাংবাদিকদের উপর হামল চালায়। ওই সময় সাংবাদিক ইউনিয়নের অফিস ভাংচুর করা হয়। আজ বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভেলানগর জেলখানার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থীর তাহমিদ ভূইয়া (১৫) নরসিংদী নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস (এনকেএম) এর দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।

নিহত তাহমিদ ভূইয়া নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর গ্রামের ডা. রফিকুল ইসলামের ছেলে। অপর নিহত হলো পলাশ উপজেলার দড়িচর গ্রামের কাইয়ুম মিয়ার ছেলে ইমন (২১) ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা লাঠি শোঠা ও ইট পাটকেল নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর জেলখানা মোড় এলাকায় জমায়েত হতে থাকে।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় পুলিশ ও আন্দোলোন কারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে গেলে পুলিশ টিয়ারসেল রাবার বুলেট এবং গুলিবর্ষন শুরু করেন। প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে আন্দোলন কারী ও পুলিশ সদস্য কমপক্ষে ১৫০ জন আহত হয়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন নি হত হয়।

নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক এম এন মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, আমাদের এখানে প্রায় ৫৬ জনের মধ্যে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে তাহমিদ ভূইয়া নামে একজন মারা গেছে। মুমুর্ষাবস্থায় আরো ১ জন সহ বেশ কয়েক জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নরসিংধী সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা: মাহামুদুল বাশার কমল জানিয়েছেন, সদর হাসপাতালে ইমন নামে একজনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাছাড়া আহত ৫০ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, হামলা ও সংঘর্ষে ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আরএন/

spot_img
spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বশেষ প্রকাশিত

spot_img