আজকাল, স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য একেবারে সাধারণ একটি প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবে অনেকেই বিভিন্ন কারণে সফল হতে পারেন না। প্রফেসর মেয়ার, যিনি তার ল্যাবে পিএইচডি পজিশনের জন্য ১০১টি আবেদন পর্যালোচনা করেছেন, তার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ উঠে এসেছে যা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে কেন এত শিক্ষার্থী স্কলারশিপের জন্য রিজেকশন পান।
প্রথমত, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী পজিশন-স্পেসিফিক কভার লেটার লিখতে ভুল করেন, যা তাদের আবেদনকে সাধারণ এবং আকর্ষণহীন করে তোলে। প্রফেসর মেয়ারের মতে, পজিশন-স্পেসিফিক কভার লেটার না লিখলে আবেদনকারীর আগ্রহের অভাব এবং অপরিকল্পিত মনোভাব প্রকাশ পায়। যদি কভার লেটারটি পজিশনের সাথে সম্পর্কিত না হয়, তবে এটি প্রমাণ করে যে আবেদনকারী যথেষ্ট Homework করেননি বা সেটি তার জন্য উপযুক্ত কিনা তা জানেন না।
দ্বিতীয়ত, অনেক আবেদনকারী অ্যাপ্লিকেশন ইনস্ট্রাকশন্স (আবেদন নির্দেশনা) অনুসরণে ব্যর্থ হন। অনেক সময় আবেদনকারীরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দেন না বা কভার লেটারটি হয় সাধারণ (generic)। প্রফেসর মেয়ারের মতে, আবেদনপত্রে যে নির্দেশনা দেওয়া থাকে তা ঠিকভাবে অনুসরণ না করলে, এটি এমন একটি ইম্প্রেশন তৈরি করে যে আবেদনকারী ভবিষ্যতে কাজের জন্যও নির্দেশনা অনুসরণে একই রকম অবহেলা করবেন।
তৃতীয়ত, আবেদনকারীরা সাধারণত ল্যাব বা প্রতিষ্ঠানের কাজ অনুযায়ী তাদের আবেদন কাস্টমাইজ করেন না। প্রফেসর মেয়ারের পরামর্শ অনুযায়ী, স্কলারশিপে সফল হওয়ার জন্য আবেদনটি ল্যাব বা প্রতিষ্ঠানের কাজের সাথে মিল রেখে কাস্টমাইজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে আপনার আগ্রহ এবং দক্ষতা প্রদর্শন করার সুযোগ দেয়, যা আপনার উপযুক্ততা আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। অনেক শিক্ষার্থী একাধিক পজিশনে একই কভার লেটার ও সিভি পাঠান, যা তাদের আবেদনকে একঘেয়ে এবং আকর্ষণহীন করে তোলে।
অতএব, আবেদনকারীদের উচিত তাদের আবেদন প্রতিটি পজিশন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করা, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সতর্কতার সাথে অনুসরণ করা এবং আবেদনপত্রে তাদের প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা ও আগ্রহ যথাযথভাবে উল্লেখ করা। এই পরামর্শগুলো অনুসরণ করলে, স্কলারশিপের জন্য সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।
লেখা: আজিজুল হক, সহকারী অধ্যাপক, ইয়ুংনাম ইউনিভার্সিটি