আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে। সূচি অনুযায়ী, ১৩ এপ্রিল পরীক্ষায় বসতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এসএসসিতে ওইদিন বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে ওইদিন বৈসাবি উৎসব পড়ায় সূচি পরিবর্তনের দাবির প্রেক্ষিতে পরীক্ষাটি পেছানো হয়েছে।
নতুন সংশোধিত সূচি অনুযায়ী, ১৩ এপ্রিলের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা পিছিয়ে আগামী ১৩ মে নেওয়া হবে। তাছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আন্ত:শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার সই করা এসএসসির সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত সকল ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর প্রকাশিত পরীক্ষার সূচিতে ১০ মে থেকে ১৮ মে পর্যন্ত সকল ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়। এরপর ১৫ ডিসেম্বর এসএসসির দুটি বিষয়ের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিল জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সহযোগী সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
স্মারকলিপিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা জানিয়েছিলেন, ১২ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়েছে। রুটিন অনুযায়ী ১৩ এপ্রিল বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ১৫ এপ্রিল ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক উৎসব বিঝু, বৈসু, বিহু, সাংগ্রাই, সাংক্রান উদ্যাপন করা হয়। ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছুটি রাখা হলেও রুটিনে পাহাড়িদের বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। ১৩ ও ১৫ এপ্রিল রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা খারাপ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ভিন্ন ভাষাভাষী জাতিসমূহের প্রধান সামাজিক উৎসবটির উদ্দেশ্য এবং চেতনা এক ও অভিন্ন। বর্ষবিদায় ও বরণের এই উৎসবে পরিবারের লোকজন সবাই একত্র হয়ে থাকেন এবং সামাজিকভাবে একত্র হয়ে পারস্পরিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করেন। উৎসবকে কেন্দ্র করে নানা ধর্মীয় ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির মেলবন্ধনে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই উৎসবের ঐতিহ্যগত ও আর্থসামাজিক গুরুত্ব অপরিসীম।
তাই ১৩ ও ১৫ এপ্রিল এসএসসির পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করার আহ্বান জানানো হয় স্মারকলিপিতে।
এএকে/