বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ আসন্ন ঈদের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতা, পূর্ণাঙ্গ বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান এবং বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সমাধানসহ ১০ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে ঈদের পর সারাদেশে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে।
এতে বক্তারা বলেন, আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ১,০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পাই। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে অনেক বৈষম্য। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেলের এক ধাপ নিচে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন কর্মসুচি ঘোষণা দেওয়া হয় যার মধ্যে রয়েছে, ১২ মার্চ সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। ১৬ মার্চ সকাল ১১টায় দেশের সকল জেলা ও বিভাগীয় সদরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বা বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। এরপরও দাবি পূরণে প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে ঈদের পর সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কমচারীরা কঠোর কর্মসূচি পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আল মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা আলী আহমেদ, হাজী আবুল কাশেম, সহসভাপতি গোলাম রব্বানী, মীর মনিরুজ্জামান, রণজিৎ কুমার নাথ প্রমুখ।
এএকে/