জাবি প্রতিনিধি: সীমান্তে বাংলাদেশী কিশোরী স্বর্ণা দাসকে গুলি করে হত্যা ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মশাল মিশিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পাদদেশ থেকে ‘আধিপত্যবাদ বিরোধী মঞ্চ’-র ব্যানারে একটি মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বটতলায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী সুয়াইব হাসান বলেন, ভারতের যদি ন্যূনতম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার আকাঙ্ক্ষা থাকে তবে অতি দ্রুত সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে। ফেলানি খাতুন থেকে স্বর্ণা দাস পর্যন্ত সকল হত্যার বিচার করতে হবে। এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকটা বিএসএফ সদস্যকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তিন তিনবার ভুয়া নির্বাচনদাতা, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসকারী স্বৈরাচার খুনিকে আশ্রয়দাতা ভারতের কোনো প্রকল্প জাহাঙ্গীরনগরে চলতে পারে না। অতি দ্রুত ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন যুক্ত প্রকল্প, সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে তা না হলে আমরা এর চড়া জবাব দিতে প্রস্তুত আছি।
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, ইসরাইল যেমন মধ্যপ্রাচ্যে কোন শান্তি স্থাপন করতে দেয় না, ঠিক তেমনি দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র ভারতও পার্শ্ববর্তী কোন দেশকে শান্তিতে থাকতে দেয় না। তারা সব সময়ই অশান্তি স্থাপনের চেষ্টা করে। তারা বাংলাদেশকে বন্ধু রাষ্ট্র বলে আসছে অথচ এমন কোন আগ্রাসন নেই যা তারা বাংলাদেশে চালায়নি। রাজনৈতিক আগ্রাসন বলেন, সাংস্কৃতিক আকর্ষণ বলেন, অর্থনৈতিক আগ্রাসন বলেন সব ধরনের আগ্রাসন বাংলাদেশের উপর চালিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতকে আমরা বলে দিতে চাই, আপনাদের বসানো সরকার, আপনাদের পুতুল সরকার এখন বাংলাদেশ থেকে উৎখাদিত। এখন বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার সরকার রয়েছে। অতএব আপনাদের কোন অন্যায়কে ছাত্র জনতার সরকার প্রশ্রয় দিবেনা।
উল্লেখ্য, গত রবিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ গুলি করে স্কুলশিক্ষার্থী স্বর্ণা দাসকে হত্যা করার পর মরদেহ ৪৫ ঘণ্টা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসএস/
মন্তব্য করুন