বুটেক্স প্রতিনিধি: নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এতে গত ১৪ আগস্ট তাকে নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হতে বদলি করে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
অভিযুক্তদের দাবি সাইফুর রহমান ছিলেন ১২ তম গ্রেডের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট। নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক পদে (৬ষ্ঠ গ্রেড) তিনি নিয়োগ পেয়েছেন দুর্নীতি করে। তার বিরুদ্ধে মামলাসহ নানান দুর্নীতির তথ্য সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অপকর্মের প্রমাণসহ বিভিন্ন তথ্যাদি প্রচার করছে অনেকে।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চলমান ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করছিলো দীর্ঘদিন যাবৎ। শেষে পর্যাপ্ত তথ্য পেয়ে বস্ত্র অধিদপ্তরে যথাযথ মাধ্যমে জানায় এবং ফোন আলাপের মাধ্যমে বিষয়টি সচিব, অতিরিক্ত সচিব সহ ডিজি কে ব্যাখ্যা করা হয়।
সাইফুর রহমান বিগত সরকারের আমলে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। সবকিছুর প্রমাণ থাকা এবং লিখিত অভিযোগকারী থাকা সত্ত্বেও বিগত ৬ বছর ধরে তার তদন্ত চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগ এবং অবৈধ নিয়োগ বাতিলের জন্য আবেদন করেন।
পরবর্তীতে তথ্যের ভিত্তিতে তাকে দ্রুত বদলি করে অবৈধ নিয়োগের তদন্তের বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে চাক্ষুষ প্রমাণ এবং দলিলাদি আছে বলে জানা যায়।
প্রমাণাদির মধ্যে, সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রাম হতে তিন বছর মেয়াদি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক ডিগ্রি দিয়ে উক্ত পদে নিয়োগ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক পর্যায়ে দুই বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ঘাটতি, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুসারে সহকারী অধ্যাপক (কারিগরি) পদের জন্য পাঁচ বছরের বাস্তব কর্ম অভিজ্ঞতার ঘাটতি, সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদের চাকুরিকাল তার বর্তমান চাকুরিকালের সাথে যোগ করে মোট চাকুরিকাল গণনার অনুমতি নেবার ক্ষেত্রে ও শাস্তি স্বরূপ উক্ত সাধারণ ছুটিকালের তথ্য গোপন, তথ্য গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে সরকারি অর্থের আত্মসাৎ।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যক্ষ(অ:দা:) থাকাকালীন রয়েছে হাজার রকমের দুর্নীতির অভিযোগ। অবৈধভাবে গ্যাস লাইন বাণিজ্য থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের ক্রীড়া কমিটির বাজেটের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও উঠেছে।
এসএস/
মন্তব্য করুন